পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্বজ্ঞানের আরম্ভ।

 —“কারণ, আমার মনে হইতেছে, ইহা ঠিক্।”

 —“কিন্তু আর একজনের যে অন্যরূপ মনে হইতে পারে, তাহার কি করিলে? সেও কি তাহার প্রয়োগটি ঠিক্ বলিয়া মনে করিতেছে না?”

 —“হাঁ, সে ঠিক বলিয়াই মনে করিতেছে।”

 —“আচ্ছা তবে, যে সব বিষয়ে তোমাদের মত পরস্পর-বিরোধী, সেই সব বিষয়ে তোমরা উভয়েই কি তোমাদের সংস্কার গুলি ঠিকমতো প্রয়োগ করিয়াছ?”

 —“না, তাহা হইতে পারে না।”

 —“তবে, তুমি এমন কিছু কি দেখাইতে পার যাহা তোমার মনে হওয়া অপেক্ষা আরও কিছু বেশি?” একজন পাগল ও তো বলে, সে যাহা মনে করিতেছে তাহাই ঠিক্। তাহার পক্ষেও কি এই মনে হওয়ার যুক্তিটি যথেষ্ট?”

 —“না যথেষ্ট নহে।”

 —“এখন কথা হইতেছে, যাহা “মনে হওয়া”রও উপরে—সেটি কি?”

 ৪। এখন তবে দেখ, তত্ত্বজ্ঞানের আরম্ভ কোথায়। কি করিয়া মনুষ্যগণ পরস্পর-বিরুদ্ধ মত অবলম্বন করে, কোথা হইতে এই পরস্পরবিরোধিতা উৎপন্ন হয়, মতমাত্রই বিশ্বাসযোগ্য কি না, এই সমস্ত সম্যরূপে দর্শন করাই দর্শনশাস্ত্রের আরম্ভ। যাহা মনে হইতেছে তাহা ঠিক্ কি না, এবং আমরা যেমন তুলাদণ্ডের দ্বারা ওজন ঠিক্ করি, ওলন-সূতার দ্বারা সোজা বাঁকা স্থির করি, সেইরূপ এই স্বাভাবিক সংস্কারের প্রয়োগসম্বন্ধে কোন নির্দ্দিষ্ট নিয়ম আছে কি না, তাহারই অনুসন্ধান করা তত্ত্বজ্ঞানের প্রথম সোপান। যাহা আমার মনে হয়,