পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্বজ্ঞানের পথ।
১৩

 ৪। আচ্ছ। তবে, কোথা হইতে প্রথম আরম্ভ করা যাইবে? আমি বলি, প্রথমে বাক্যের অর্থের প্রতি মনোযোগী হও।

 —“তবে কি বাক্যার্থ আমি বুঝি না?”

 —“না, তুমি বোঝো না।”

 —“কি করিয়া তবে আমি বাক্য ব্যবহার করি?”

 অশিক্ষিতেরা যেরূপ লিখিত বাক্য ব্যবহার করে, কিম্বা গোমহিষেরা যেরূপ বাহ্য পদার্থ সকল ব্যবহার করে, তুমিও সেইরূপ করিয়া বাবহার করিয়া থাক। কারণ, ব্যবহার এক জিনিস, আর বুঝা আর এক জিনিস। তুমি যদি মনে কর, বাক্যার্থ তুমি বুঝ—ভাল, কোন একটা কথা লইয়া দেখা যাক্, তুমি উহার অর্থ বুঝ কি না। কিন্তু তোমার মতো বৃদ্ধের পক্ষে হার-মানা কষ্টকর হইবে। আমি ইহা বিলক্ষণ জানি, তুমি এইখানে এইভাবে আসিয়াছ, যেন তোমার কিছুই অভাব নাই। হাঁ, তুমি মনে করিতেছ, তোমার কিসের অভাব। তোমার ধন ঐশ্বর্য্য আছে, সন্তান-সন্ততি আছে, হয়তো পত্নীও আছে, অনেক দাসদাসীও আছে; সীজার তোমাকে জানেন, রোমে তোমার অনেক বন্ধুবান্ধব আছে; যথাযোগ্যরূপে তুমি তোমার অধীনজনদিগকে দণ্ড পুরস্কার বিধান করিয়া থাক—ভাল যে করে তাহার ভাল কর, মন্দ যে করে তাহার মন্দ কর। আর তোমার চাই কি? এখন তোমাকে যদি আমি দেখাইয়া দিই, প্রকৃত সুখের জন্য তোমার যে সকল বস্তু নিতান্ত আবশ্যক, তাহা তোমার কিছুই নাই; এবং যাহা তোমার পক্ষে নিতান্ত আবশ্যক, কেবল সেইগুলিই ছাড়া আর অন্য সমস্ত বস্তু এতাবৎকাল তুমি অনুসরণ করিয়াছ; ঈশ্বর কি পদার্থ, মানুষ কি পদার্থ, ভাল কাহাকে বলে, মন কাহাকে বলে, তাহা তুমি জান না; এই সমস্ত যদি তোমাকে দেখাইয়া দি, তাহা হইলে তোমার অসহ্য হইবে; যদি আমি