পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্বজ্ঞানের পথ।
১৫

ন্যায় শুধু ঘাস-দানা খায় না তো আর কি। শুধু দর্শন-সুখ লাভ করিবার জন্য অতি অল্প লােকেই আইসে; সংসার কি পদার্থ, সংসারের কর্ত্তা কে, এ তত্ত্ব জানিবার জন্য অতি অল্প লােকেই লালায়িত। কোন ক্ষুদ্র রাজ্য, কোন একটি সামান্য গৃহ, কর্ত্তা ব্যতীত, তত্ত্বাবধায়ক ব্যতীত, ক্ষণকালও তিষ্ঠিয়া থাকিতে পারে না। তবে কি শুধু এই মহা বিশ্বনিকেতনটি দৈবের দ্বারা, আকস্মিক ঘটনাপুঞ্জের দ্বারা, এমন সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হইতেছে? অতএব দেখা যাইতেছে জগতের একজন কর্ত্তা আছেন। কিন্তু তাঁহার স্বরূপ কি?—কি করিয়া তিনি শাসন করেন? এবং আমরাই বা কি পদার্থ? এবং কি উদ্দেশেই বা আমরা সৃষ্ট হইয়াছি?—ঈশ্বরের সহিত আমাদের কি কোন বন্ধন-সূত্র আছে, না কিছুই নাই?

 যে অল্পসংখ্যক লােক এই সকল তত্ত্বানুসন্ধানে ব্যাপৃত থাকে, সাধারণ লােকে তাহাদিগকে উপহাস করে! মেলা-ভূমিতেও, ব্যবসাদারেরা দর্শকদিগকে এইরূপই উপহাস করিয়া থাকে; এবং গোমেষাদিরও যদি চিন্তাশক্তি থাকিত, তাহা হইলে তাহারাও দর্শকদিগকে এইরূপ ভাবেই উপহাস করিত; তাহারা নিশ্চয় বলিত, এই মূর্খেরা যদি এখানে আসিয়া ঘাস-দানা উপভােগ না করিল, তবে এখানে আসিয়া করিল কি?

নব-শিক্ষার্থীর প্রতি।

 এ কথা যেন স্মরণ থাকে, কোন বস্তু-বিশেষকে পাইবার জন্যই আমরা তাহার অনুসরণ করিয়া থাকি; এবং কোন বস্তুকে এড়াইবার জন্যই তাহাকে বর্জ্জন করিয়া থাকি। যে ব্যক্তি শক্তির অনুসরণ করিয়াও উদ্দিষ্ট বস্তুকে প্রাপ্ত হয় না এবং যে ব্যক্তি কোন বস্তুকে