উপদেশ অনুসারে ঠিক মত চলিতে পার, এই উদ্দেশে আপাততঃ উপবাসাদি ব্রত ও অন্যান্য কঠোর নিয়ম পালন করিতে হইবে। তোমার অভ্যন্তরে যদি কিছু ভালো থাকে, আর যদি তুমি বিবেক-বুদ্ধির কথা শুনিয়া চল,—তুমি যে কাজ করিবে তাহাই ভাল হইবে। “না, আমরা মুনি-ঋষির মত থাকিয়া লোকের ভাল করিব—লোকের দোষ সংশোধন করিব”।
“লোকের কি ভাল করিবে?”—তোমার নিজের কি কিছু ভাল করিয়াছ? অন্যের দোষ কি সংশোধন করিবে? তোমার নিজের দোষ কি সংশোধন করিয়াছ? তুমি যদি তাহাদের ভাল করিতে চাও, তাহাদের কাছে গিয়া মেলাই বকাবকি করিও না; পরন্তু তত্ত্বজ্ঞান শিক্ষার-ফলে, কিরূপ লোক তৈয়ারি হয়, তাহারই দৃষ্টান্ত তোমার নিজ জীবনে প্রদর্শন কর। যাহারা তোমার সহিত আহার করে, তাহারা যাহাতে তোমার আহার দেখিয়া ভাল হইতে পারে; যাহারা তোমার সহিত পান করে, তাহারা যাহাতে তোমার পান করা দেখিয়া ভাল হইতে পারে, তুমি তাহাই কর। আত্মত্যাগ স্বীকার কর, সকলকে পথ ছাড়িয়া দেও, সকলের কথা ও আচরণ সহ্য কর। এইরূপেই তাহাদের তুমি ভাল করিতে পারিবে; তাহাদের উপর তোমার পিত্ত বমন করিয়া—তাহাদের উপর ঝাল ঝাড়িয়া তাহাদের তুমি ভাল করিতে পারিবে না।



আত্মোন্নতির তিনটি ধাপ।
১। তত্ত্বজ্ঞান তিনভাগে বিভক্ত। যিনি জ্ঞানী ও সাধু হইতে ইচ্ছা করেন, এই তিন বিভাগেই তাঁর সাধনা ও অভ্যাস করা আবশ্যক।