পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জ্ঞানী ও অজ্ঞানের ভয়।
৩৩

 ৫। যে উৎকৃষ্টতা তোমার নিজস্ব নহে, তাহাতে উৎফুল্লচিত্ত হইও না। যদি তোমার অশ্ব উৎফুল-চিত্ত হইয়া বলে “আমি সুন্দর” সে কথা বরং শ্রুতিযোগ্য, কিন্তু তুমি যদি উৎফুল্ল চিত্তে বল “আমার একটি সুন্দর ঘোড়া আছে”—তখন জানিবে, তুমি যে উৎকৃষ্টতার জন্য উৎফুল্ল হইয়াছ, সে উৎকৃষ্টতা তোমার অশ্বের—তোমার নহে। তবে তোমার নিজস্ব বস্তুটি কি? সে এই—বাহ্যবস্তু সমুহের যথাযোগ্য প্রয়োগ করা। অতএব যখনই তুমি প্রকৃতির নিয়মানুসারে বাহ্য বস্তুর প্রয়োগ করিতে পারিবে, তখনি তুমি উৎফুল্ল হইও, কেন না যে উৎকৃষ্টতা তোমার নিজস্ব তাহার জন্যই তুমি উৎফুল্ল হইতে পার।

জ্ঞানী ও অজ্ঞানের ভয়।

 ১। কোন পদার্থ যখন আমাদের চিত্তে প্রতিভাত হয়, তখন প্রথমেই তাহার প্রতীয়মান রূপটিতেই আমরা অভিভূত অথবা বিমুগ্ধ হইয়া পড়ি। তাহাতে আমাদের ইচ্ছাশক্তির কোন হাত থাকে না। উহা আমাদের আয়ত্তের বাহিরে। ঐ পদার্থ-সমূহের এমনি একটি নিজস্ব শক্তি আছে যে উহা আমাদের অন্তরে বলপূর্ব্বক প্রথমেই একটা অযথা প্রতীতি জন্মাইয়া দেয়। কিন্তু এই প্রতীতিগুলির সত্যতা সম্বন্ধে বুদ্ধির অনুমোদন চাই—এই অনুমোদন দেওয়া না দেওয়া মানুষের ইচ্ছা-শক্তিসাপেক্ষ। আকাশে একটা ঘোরতর শব্দ হইল, সহসা কোন বস্তুর পতন হইল, কোন বিপদের পূর্ব্বসূচনা হইল, অথবা এই প্রকার আর কোন কিছু হইল—তখন তত্ত্বজ্ঞানীরও চিত্ত কিঞ্চিৎ বিচলিত না হইয়া যায় না; তিনি শিহরিয়া উঠিবেন, তাঁহার মুখ বিবর্ণ হইয়া যাইবে। উহার দ্বারা তাঁহার কোন অমঙ্গল হইবে এরূপ ধারণা-বশে