পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যার যে কাজ।

 ১। “চিরজীবন সম্মানিত হইয়াই আমাকে থাকিতে হইবে। দেশের মধ্যে আমার কোন স্থান নাই, আমি দেশের কেউ নই”— এইরূপ ভাবিয়া মনকে কষ্ট দিয়ো না। মান সম্রমের অপ্রাপ্তিকে তুমি কি অনিষ্ট জ্ঞান কর? পরকৃত পাপাচারণে যেমন তুমি পাপের ভাগী হও না, সেইরূপ পরকৃত কর্ম্মেও তোমার প্রকৃত অনিষ্ট হয় না। তুমি যখন কোন ভোজে নিমন্ত্রিত হও,—রাজ্যের কোন কর্ম্মপদে নিযুক্ত হও, —সে কি তোমার স্বকৃত কাজ? তবে, ইহাতে অসম্মানের কথা কি আছে? “আমি দেশের কেউ নই”—একথা তুমি কি করিয়া বল? যে সকল বিষয় তোমার নিজায়ত্ত, যাহাতে তুমি সর্ব্বাপেক্ষা অধিক যোগ্যতা দেখাইতে পার, শুধু সেই সকল বিষয়েই তুমি “দেশের কেউ” বলিয়া পরিচিত হইতে পার।

 ২। “আমার বন্ধুদের আমি কোন উপকার করিতে পারি না” — একথা কেমন করিয়া বল? বন্ধুদের উপকার করা? তাহারা তোমার নিকট হইতে অর্থ পাইবে না—পদ মান পাইবে না, একথা সত্য। এ সমস্ত কি আমাদের নিজায়ত্ত? যাহার যাহা নাই, সে কি তাহা অন্যকে দিতে পারে?

 ৩। “যদি না থাকে ত অর্জ্জন কর,”—লোকে এইরূপ বলে। এই সমস্ত অর্জ্জন করিতে গিয়া আমি যদি আমার ধর্ম্ম, আমার ভক্তি, আমার মহত্ত্ব, সমস্ত না হারাই, তাহা হইলে বল, কি উপায়ে উহা অর্জ্জন করিতে হইবে,—আমি তাহাই করিব। কিন্তু যে সকল জিনিস আদৌ ভাল নহে, তাহা অর্জ্জন করিতে গিয়া, যে সকল ভাল জিনিস আমার আছে—তোমার কথা-অনুসারে, আমি যদি সে সমস্ত হারাই, তাহা