পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজশক্তি ও আত্মবল।
৬৯

 ৪। অতএব আত্মা ছাড়া আর কোন বিষয়ের উপর আমাদের যদি আস্থা থাকে,—আর কোন বিষয়কে যদি ভাল কিম্বা মন্দ বলিয়া আমরা মনে করি,—বিষয়-সমূহের মিথ্যাপ্রতীতি যদি আমাদের অন্তরে পোষণ করি, তাহা হইলে কাজেকাজেই আমাদিগকে অত্যাচারী রাজার সেবায় নিযুক্ত হইতে হইবে। শুধু রাজার সেবা হইলেও বাঁচিতাম—রাজার অধম পেয়াদাদিগেরও সেবা করিতে হইবে।

 ৫। যে, এইরূপ ভাল-মন্দ ভেদবিচারে সমর্থ, সে কেন না শান্তভাবে জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করিতে পারিবে? যাহা ঘটিবে ও যাহা ঘটিয়াছে তাহার প্রতি অবিচলিত ভাবে দৃষ্টিপাত করিতে কেন না সমর্থ হইবে? তুমি আমাকে দারিদ্র্যের মধ্যে নিক্ষেপ করিতে চাও? দেখ, আমি তাহা অম্লানবদনে গ্রহণ করিতে পারি কি না;—দেখ দারিদ্র্যের অভিনয় আমি ভাল করিয়া করিতে পারি কি না। তুমি চাও আমি দেশশাসন করি?—আমাকে সেইরূপ কর্ত্তৃত্ব দেও—দায়িত্ব দেও—তাহা হইলে আমি তাহার ক্লেশভারও বহন করিব। নির্ব্বাসন?—যেখানেই যাই না কেন, সেই খানেই আমি ভাল থাকিব। এখানে যে আমি ভাল ছিলাম তাহা স্থানের জন্য নহে,—আমার মতামত অক্ষত ছিল বলিয়াই। যেখানেই যাই, আমার সেই মতামত আমি সঙ্গে লইয়া যাইব। আমার মতামত হইতে আমাকে কেহই বঞ্চিত করিতে পারিবে না। উহাই আমার নিজস্ব বস্তু; উহা রক্ষা করিতে পারিলে, যাহাই করি না কেন, যেথাই যাই না কেন, তাহাতে কিছুই আইসে যায় না।

 ৬। “কিন্তু এইবার যে তোমার মৃত্যুকাল উপস্থিত।”

 কি বলিতেছ?—মৃত্যু? ওগো! মৃত্যুকে তুমি শোকের ব্যাপার করিয়া তুলিও না—উহা যেমনটি ঠিক্ তাহাই বল। যে পঞ্চভূত হইতে আমি আসিয়াছিলাম, সেই পঞ্চভূতে আবার আমায় মিশিয়া