বেশভূষা।
একদিন একটি যুবক, সযত্নে কেশবিন্যাস ও বেশবিন্যাস করিয়া এপিক্টেটাসের নিকট উপস্থিত হইল। এপিক্টেটাস্ এইরূপ বলিলেন:—
“কোন-কোন কুকুরকে, কোন-কোন ঘোড়াকে, কিংবা অন্য কোন জন্তুকে সুন্দর বলিয়া কি তোমার মনে হয় না?”
সে বলিল -“হাঁ, মনে হয় বৈ কি।
—“সেইরূপ, কোন-কোন মানুষও সুন্দর কিংবা কুৎসিৎ নয় কি?”
—“তা ত বটেই”
—“এই যে সব সুন্দর জীবজন্তু, উহাদের প্রত্যেককে কি একই কারণে আমরা সুন্দর বলি?—না ঐ প্রত্যেকের মধ্যে এমন একটা কিছু আছে যাহা তাহাকেই সাজে, এবং যাহা থাকার দরুণই আমরা তাহাকে সুন্দর বলি? কথাটা এইরূপ দাড়াইতেছে যেহেতু আমরা দেখিতে পাই, প্রকৃতি বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য, কুকুর ঘোড়া কোকিল প্রভৃতি বিশেষ বিশেষ জীব-জন্তুকে সৃষ্টি করিয়াছেন, অতএব এইরূপ সিদ্ধান্ত করা অযৌক্তিক নহে যে ঐ প্রত্যেক জাতীয় জীবজন্তুর মধ্যে নিজ নিজ প্রকৃতি অনুসারে যাহারা উৎকৃষ্ট তাহাদিগকেই আমরা সুন্দর বলি। এবং যেহেতু প্রত্যেক জাতীয় জীবের প্রকৃতি বিভিন্ন, অতএব উহাদের প্রত্যেকের সৌন্দর্য্যের প্রকারও বিভিন্ন। তাহা নহে কি?”
সে ব্যক্তি এই কথার যৌক্তিকতা স্বীকার করিল।
—“অতএব যাহা থাকায় কুকুর সুন্দর, তাহাতেই অশ্ব কুৎসিৎ বলিয়া মনে হয়, এবং যাহা থাকায় অশ্ব সুন্দর, তাহাতেই কুকুরকে