অতএব, যাহার তুমি প্রশংসা কর তাহার মত যদি তুমি আপনাকে করিয়া তুলিতে পার তবেই জানিবে তুমি আপনাকে সুন্দর করিয়া তুলিতেছ। কিন্তু যতদিন এই সব বিষয়ে অবহেলা করিবে, ততদিন আপনাকে সুন্দর করিবার যত উপায়ই অবলম্বন কর না,তুমি কুৎসিৎই থাকিবে।
কেন না, তুমি মাংস নহ—তুমি কেশ নহ;—তুমি আত্মপুরুষ; তুমি যদি তোমার আত্মাকে সুন্দর করিতে পার, তাহা হইলেই তুমি সুন্দর হইবে। তুমি কুৎসিৎ—এ কথা আমি তোমার নিকট সাহস করিয়া বলিতে পারি না; কিন্তু যদি তোমাকে কেহ কুৎসিৎ বলে, তাহা হইলে তোমার তাহা সহ্য করা উচিত। কেন না, এ অবস্থায়, কুৎসিৎ ছাড়া তোমার প্রতি আর কোন্ শব্দ প্রয়োগ করা যাইতে পারে? আল্সিবাইডিস্ ত একজন অদ্বিতীয় সুপুরুষ ছিলেন; সক্রেটিস্ তাঁহাকে কি বলিয়াছিলেন জানো ত?—তিনি বলিয়াছিলেন:—“সুন্দর হইতে চেষ্টা কর। মস্তকের কেশ কুঞ্চিত করিয়া, পায়ের রোমাবলী উৎপাটিত করিয়া সুন্দর হইবে?—না, তাহা নহে। তোমার আত্মাকে সুব্যবস্থিত কর,—সংযত কর; সমস্ত অশুভ চিন্তা আত্মা হইতে অপসারিত কর।”
—“শরীর সম্বন্ধে তাহা হইলে কি করা কর্ত্তব্য?”
—“প্রকৃতি শরীরকে যেভাবে গড়িয়াছেন তাহাকে সেই ভাবেই রাখিবে। জানিবে, আর একজন শরীরের তত্ত্বাবধান করিতেছেন; শরীরকে তাঁহারই হস্তে সমর্পণ কর।”
—“তবে কি শরীরকে অপরিষ্কার ও মলিন করিয়া রাখিতে হইবে?”
“তাহা কখনই নহে। তুমি বাস্তবিক যাহা—প্রকৃতি তোমাকে যেরূপ ভাবে গড়িয়াছেন—তুমি সেই ভাবে আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন