পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
এপিক্‌টেটসের উপদেশ।

যেখানে তােমার রতি বিরতি, যেখানে তােমার স্বাধীনতা বিদ্যমান; কিন্তু তােমার শরীর মৃৎপিণ্ড ভিন্ন আর কিছুই নহে। কেন তবে শরীরের জন্য মিছামিছি এত শ্রম যত্ন করা? কেন না, মহাকাল যদি তােমাকে আর কোন শিক্ষা না দেয়, অন্তত এই শিক্ষাটি তােমাকে নিশ্চয়ই দিবে যে, শরীর জিনিসটা কিছুই নহে। কিন্তু যদি কেহ আমার নিকট আইসে যাহার শরীর অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন, বাহার গুম্‌ফ হাঁটু পর্যন্ত ঝুলিয়া পড়িয়াছে, তাহাকে আমি কি বলিব? কিসের উপমা দিয়া, কিসের দৃষ্টান্ত দিয়া আমি তাহাকে বুঝাইব? সে যদি সৌন্দর্য্যের কোন চর্চ্চা না করিয়া থাকে, তাহা হইলে সৌন্দর্য্যের অন্য পথ তাহার জন্য কি করিয়া আমি নির্দ্দেশ করিব? কেমন করিয়া তাহাকে বুঝাইব “সৌন্দর্য্য এখানে নাই—সৌন্দর্য্য ঐখানে”? আমি যদি তাহাকে বলি—শারীরিক মলিনতার উপর সৌন্দর্য্য নির্ভর করে না,—সৌন্দর্য্য আত্মার জিনিস—সে কি তাহা বুঝিবে? সে কি আদৌ সৌন্দর্য্যকে অন্বেষণ করে? তাহার মনে কি সৌন্দর্য্যের কোন ভাব আছে? আমি যদি একটা শূকরকে বলি, তুই কাদায় গড়াগড়ি দিস্ না—সে কি আমার কথা শুনিবে?

প্রকৃতির অভিপ্রায়।

 আমাদের নিজের সহিত যাহার সংস্রব নাই, সেই সকল বিষয় হইতেই আমরা প্রকৃতির অভিপ্রায় অবগত হইতে পারি। যখন কোন এক বালক অপর বালকের পেয়ালা ভাঙ্গিয়া ফেলে, আমরা তখন সহজেই বলি,“ওটা দৈবাৎ ভাঙ্গিয়াছে।” অতএব, অপরের পেয়ালা ভাঙ্গিলে তুমি যে ভাবে দেখ, তােমার নিজের পেয়ালা ভাঙ্গিলেও