পাতা:এব্রাহাম লিঙ্কনের বক্তৃতাবলী.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মূলধন এবং শ্রম প্রসঙ্গে ১৮৬১ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের নিকট প্রথম বার্ষিক বাণীতে লিঙ্কন যুদ্ধের বিষয়টি ব্যতীত অন্যান্য যে সকল বিষয় দেশের কল্যাণের সহিত সম্পর্কিত সেগুলির বিশ্লেষণ এবং আলোচনা করেন। এই বিষয়গুলির মধ্যে ছিল মূলধন ও শ্রম। --- শ্রম মূলধন হইতে স্বতন্ত্র এবং পূর্বগামী । মূলধন শ্রমেরই ফল, প্রথমে শ্রম না থাকিলে মূলধন থাকিতে পারিত না । শ্রম মূলধন অপেক্ষা শ্ৰেষ্ঠ এবং সেহেতু অধিকতর মূল্যবান। মূলধনের অধিকার রহিয়াছে—অন্যান্য অধিকারের মতই যেগুলি রক্ষার যোগ্য। একথা অস্বীকার করা যায় না। যে মূলধন এবং শ্রমের মধ্যে সম্পর্ক রহিয়াছে এবং হয়তো চিরকালই থাকিবে—যে সম্পর্ক পরস্পরের হিতকর । সেই সম্পর্কের মধ্যেই সমাজের সকল শ্রম রহিয়াছে এই ধারণাটিই ভুল। মুষ্টিমেয় লোকের মূলধন আছে, ইহা দ্বারা তাহারা শ্রম এড়াইয়া যাইতে পারে এবং ঐ মূলধনের সাহায্যে তাহারা অপর কয়েকজন ব্যক্তিকে তাহদের কাজ করিয়া দিবার জন্য ক্ৰয় করিতে অথবা ভাড়া লইতে পারে। জনসাধারণের অধিকাংশ দুই দলের কোন দলেই পড়ে না।--তাহারা অপরের কাজ করে না বা অপরকে দিয়া নিজের কাজ করাইয়া লয় না । দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ রাষ্টে বর্ণনিবিশেষে জনসংখ্যার অধিকাংশ দাসও নহে, প্রভুও নহে। মানুষেরা তাহদের পরিবার পরিজন—স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাসহ নিজ নিজ কৃষিক্ষেত্রে, বাড়ীতে, দোকানে নিজ নিজ কাজ করে, উৎপন্ন দ্রব্যের সম্পূর্ণ অংশই তাহার। নিজেরা লয় এবং মূলধন বা দাসশ্রমিক বা মজুরী শ্রমিক কাহারও দয়ার উপর নির্ভর করে না । অনেকে শ্রমের সহিত মূলধন মিশ্রিত করে—অর্থাৎ তাহারা নিজের হাতে কাজ করে এবং সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের জন্য অপরের শ্রম ক্ৰয় অথবা ভাড়া করে—একথা আমার স্মরণে আছে ; কিন্তু ইহা একটি মিশ্রিত শ্রেণী—কোন বিশিষ্ট শ্রেণী নহে । পুনরায়, পূর্বেই বলা হইয়াছে যে স্বাধীন মজুরী শ্রমিক সেই অবস্থায় চিরজীবনের মত আবদ্ধ থাকিবে এমন কোন স্বাভাবিক নিয়ম নাই | এই সকল রাষ্ট্রে বহু স্বাধীন ব্যক্তি রহিয়াছেন র্যাহারা নিজের জীবনে কয়েক বৎসর পূর্বেও মজুরী শ্ৰমিক ছিলেন। জীবনের পথে যাত্রা আরম্ভকারী নিঃস্ব অথচ বিজ্ঞ ব্যক্তিগণ কিছুকাল মজুরীর বিনিময়ে শ্ৰম করিয়া উদ্ধৃত্তি অর্থ সঞ্চয় করেন ও তদ্বারা যন্ত্রপাতি বা জমি ক্ৰয় করেন ; আরও কিছুকাল নিজে শ্ৰম করিয়া অবশেষে আর একজন নূতন শিক্ষানবীশকে সাহায্যের জন্য ভাড়া করেন । ইহাই হইল ন্যায্য, স্বাধীন এবং সমৃদ্ধশালী প্রথা যাহা সকলের সম্মুখে দ্বার অবারিত রাখে-সকলকে আশা দেয় এবং পরিণামে দেয় শক্তি, প্ৰগতি এবং সকলের অবস্থার উন্নতি । যাহারা আপন শ্রমে দরিদ্র অবস্থা হইতে উঠিয়াছেন তঁহাদের মত বিশ্বাসযোগ্য লোক কেহই নাই ; নিজেদের শ্রমে সাধু K R.