এমনি বহু লোককে ঘুম থেকে আবার জেগে উঠতে। তাই তারা নিয়ম করে গেল, মরলেই যাতে মানুষকে মাটির ভেতর পুঁতে না ফেলা হয়। একটা সময় পর্যন্ত দেখতে হবে, সেটা ঘুম, না মৃত্যু! শাদা লোকেরা এ সব কথা বুঝবে কি করে?
বাতোয়ালা মনে মনে এইসব কথাই ভাবছিল আর মাঝে মাঝে চাপা গলায় বিসিবিংগুইকে জানাচ্ছিলো।
সামনে বৃদ্ধ পিতার অন্তিম সৎকার হচ্ছে। বিসিবিংগুই তার পাশেই বসে আছে। উৎসবের পরের দিনই তাদের দুজনার ঝগড়া বাইরে থেকে মিটমাট হয়ে যায়। দুজনেই স্বীকার করে নেয় অতিরিক্ত মদ্যপানের দরুণ তারা সাময়িকভাবে উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলো। তাই তাদের পুরানো অন্তরঙ্গতা মনে হয় অব্যাহতই রয়েছে।
কিন্তু বিসিবিংগুই মনে মনে জানে, সেদিনকার ব্যাপারের দরুণ বাতোয়ালা প্রকৃতপক্ষে তাকে মন থেকে ক্ষমা করতে পারে নি। সুযোগ পেলেই সে তার উপযুক্ত প্রতিশোধ নেবে। নীরবে সেই সুযোগের অপেক্ষায় আছে বাতোয়ালা।
পঞ্চম পরিচ্ছেদ
মেয়েরা গেয়ে চলে,
‘বাবা, তুমিই প্রকৃত সুখী,
আমরা যারা শোক করবার জন্যে পড়ে রইলাম,
৯৮