করে থাকতে হবে, যতক্ষণ না উপযুক্ত সুযোগের লগ্ন আসে। ঘৃণা হলো চরম ধৈর্যের ব্যাপার।
তারপর, যখন সবদিক থেকে সুযোগ ঘনিয়ে আসবে, তখন নিঃশব্দে তাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলো,···এতদিন ভায়ের মতন যাকে কাছে কাছে রেখেছো, তাকে বিষ দিতে বিশেষ আর হাঙ্গামা করতে হবে না।
তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী···তোমার শত্রু···তার সঙ্গে তোমার আসল সম্বন্ধ হলো, নেকড়ের সম্বন্ধ···নেকড়ে···বনের সমস্ত পশুদের মধ্যে সবচেয়ে ক্রুর, সবচেয়ে নির্মম, নিষ্ঠুর—
আকাশে যখন চাঁদ থাকে না, অন্ধকারে থম্ থম্ করে বন, সেই সময়ে নেকড়ে বেরোয় শিকারে···
অন্ধকারে অতর্কিতে এক নিমিষে শিকারের টুটি চেপে ধরে —নখ আর দাঁত দিয়ে টুকরো টুকরো করে তাকে জবাই করে···রক্ত পান করবার আগেই রক্তের গন্ধে মুখের সমস্ত পেশী সবল হয়ে ওঠে···টাটকা, তাজা গরম রক্ত, তখনও তা থেকে উঠছে ধোঁয়া, সে-রক্ত না হলে তার তৃষ্ণা মেটে না। সেই রক্ত পান করেও সে তৃপ্ত হয় না, সেই রক্ত সর্বাঙ্গে মেখে আনন্দে তাতে গড়াগড়ি দেয়, সুরার মত সে তপ্ত রক্ত মাতাল করে তোলে তাকে—বহুক্ষণ পর্যন্ত বাতাসে রক্তের তীব্র গন্ধ মশগুল করে রাখে তাকে···
নিজের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে এই নেকড়েকে। অমনি
১০০