পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চাঁদ-ডোবা এক অন্ধকার রাত্রিতে, যে-বুনো পথ দিয়ে তোমার শিকার যাবে, তার ধারে মুখেতে মুখোস পরে লুকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে···অপেক্ষায়···

 তারপর···ঐ···ঐ আসছে শিকার! একটা উন্মাদ লাফ—এক নিমিষে মাটিতে ফেলে দুই হাত দিয়ে সজোরে গলা টিপে ধরো···তারপর নেকড়ের মতন, কোমর থেকে সরু ছুরি নিয়ে, কিম্বা নিজের লম্বা ধারালো নখ দিয়ে গলার নলিটা টেনে ছিড়ে ফেলো···তারপর নেকড়ের মতন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলো···

 বাতোয়ালা সত্যি সত্যি ঠিক এইরকমই মনে মনে জল্পনা করে চলেছিল···বিসিবিংগুই অনুমান করতে ভুল করে নি। বাইরের অন্তরঙ্গতার আড়ালে নিঃশব্দে বয়ে চলে প্রতিহিংসার ধারা—

“বাবা, তুমিই প্রকৃত সুখী,
আমরা যারা শোকার্ত পড়ে রইলাম,
আমরাই আসলে দুঃখী।”

 একটা ছোট ছেলে আপনার মনে একটা বহুরূপী গিরগিটি ধরবার চেষ্টা করছে। ওরা তাকে বলে কলিঙ্গো। কলিঙ্গো যেখানে থাকে, তারই রঙ ধারণ করে, কখনো শাদা, কখনো হল্‌দে, কখনো সবুজ।

 কিন্তু বাতোয়ালার কুকুর, জুমা, সে কি এই তত্ত্ব জানে? না। এ তত্ত্ব জানবার কোন উপায়ই তার নেই। তাই কান

১০১