খাড়া করে সে বহুরূপীটির দিকে চেয়ে প্রাণপণে চীৎকার করে।
শববাহীরা ধীরে ধীরে বৃদ্ধের শবদেহকে একটা মাদুরের ওপর তুলে নেয়, যে-মাদুরে বৃদ্ধ শুয়ে থাকতো। তারপর কবরস্থানে নিয়ে যাবার জন্যে কাঁধে তোলে। সঙ্গে সঙ্গে তুমুল শব্দে বাজনা বেজে ওঠে। মেয়েরা কণ্ঠ ছেড়ে বিলাপ করতে আরম্ভ করে,···
“ওগো বৃদ্ধ,
আজ এখন আমরা চলেছি,
তোমাকে নিয়ে যাব তোমার নতুন ঘরে।
এখানকার জীবন ছেড়ে চলে যেতে
হলো বলে দুঃখ করো না।
তুমি যে নতুন দেশে যাচ্ছো,
সেখানে তুমি ঢের সুখে থাকবে।
সেখানে তোমার অন্নের অভাব হবে না,
অভাব হবে না পানীয়ের।
সেখানে প্রয়োজনই হবে না খাদ্যের।
কারণ সে-দেশে নেই ক্ষুধা, নেই তৃষ্ণা।”
কয়েক গজ দূরে কবরের মাটি খোঁড়া হয়েছে। শবযাত্রীর দল গাইতে গাইতে সেখানে উপস্থিত হয়। ধীরে মাটির তলায় গর্তের ভিতর শব-দেহকে নামিয়ে দেওয়া হয়। নির্বিঘ্নে ঘুমারে এবার বৃদ্ধ।
১০২