পীড়িত যে, তার বন্ধু সে। তার আলো তাদের ওষুধ। মার স্নেহের মতন আলোর স্পর্শে সে পীড়িতকে দেয় শান্তি। কে না জানে, আলোই স্বাস্থ্য, আলোই পরমায়ু? কে না জানে, ঐ বুড়ো সূর্যের জন্যেই এই জগৎ-ভরা সব প্রাণী জীবন ধারণ করে আছে?
একমাত্র চিরজীবী হলো সূর্য।
মানুষের আয়ত্তের বাইরে, শাসনের বাইরে যা কিছু, সেখানেও সূর্যের আলো গিয়ে পৌঁছোয়, সেখানেও চলে তার শাসন।
এ জগতে চিরদিনের কেউ নয়। প্রত্যেক বর্ষায় যেমন নদীর জল বেড়ে ওঠে, তেমনি বেড়ে চলেছে মানুষ। আজকে যারা শিশু, কালকে আবার তারা হবে শিশুর জনক।
মাটিকে আশ্রয় করে থাকে ঘাস। ঘাসকে আশ্রয় করে থাকে বনের প্রাণী। সেই ঘাস আর বনের প্রাণী, দুই-ই আবার নষ্ট হয়ে যায় মানুষের হাতে। মানুষকেও নষ্ট করে দেয় মৃত্যু। কিছুই থাকে না চিরদিন বেঁচে। কিছু না।
আজ যেখানে রয়েছে কুঁড়েঘর, উঠছে ধোঁয়া নড়ছে ফিরছে প্রাণী, কাল সেখানে গজিয়ে উঠবে বন, ঘন জঙ্গল। আবার মানুষ এসে ছেয়ে ফেলবে সেই বন-জঙ্গলকে। অদৃশ্য হয়ে যাবে বন। শুকিয়ে যাবে নদী। বৃথাই মানুষ আশা করে যে তার সন্তান-সন্ততির মধ্যে সে থাকবে বেঁচে। বড় বড় বংশ
১০৬