না। তারা অনেক বচসা করার পর ঠিক করলো যে, এ পরীক্ষায় অনেক সময় ঠিক ঠিক ফল পাওয়া যায় না, সুতরাং ইয়াসী-গুইন্দজাকে কঠিনতর পরীক্ষা দিতে···দিতে হবে তাকে বিষ–পরীক্ষা দিতে হবে......
কাতরভাবে সে এই সব কথা বিসিবিংগুইকে জানায়। বলে, আমি অবশ্য এই বিষ-পরীক্ষা দিতে ভয় পাচ্ছি না। আমি জানি, এই বিষের প্রতিষেধক কি···সেটা আগে খেয়ে নিলে, তাদের দেওয়া বিষ আমার কিছুই করতে পারবে না। কিন্তু তাতেও তো তারা আমাকে রেহাই দেবে না! আমি জানি, তার পর তারা যে পরীক্ষা দিতে বলবে, তার হাত থেকে রেহাই পাওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। তারা আমার চোখে “লাচা” ঢেলে দিয়ে দেখবে, আমি দেখতে পাই কিনা। যদি দেখতে পাই, তাহলে আমি নির্দোষ আর যদি দেখতে না পাই, তা হলেই তারা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করবে। আমি তো লাচার প্রতিষেধক কি জিনিস আছে, তা জানি না। কাজেই দুটি চোখ আমার একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। কিছুই দেখতে পাবো না। তখন তারা আমাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রহার করতে শুরু করবে, ঢিলিয়ে আমাকে মেরে ফেলবে। আমি জানি একদল বুড়ো আমার ওপর ভীষণ রেগে আছে, তাদের কথামত আমি তাদের দেহ দিই নি; তারা সেই রাগের প্রতিশোধ এবার নেবে।
১১২