গাঁ, তারা কি পেরেছে পাম্বা আর বাম্বার মিলনকে বাধা দিতে? সমস্ত বন, পাহাড়, জঙ্গলের বাধা এড়িয়ে নদীর জল ঠিক এসে মিশবে আর এক নদীর সঙ্গে···তুমি আমাকে কতখানি ভালবাস, তা আমি জানি না, কিন্তু আমি বলছি তোমাকে, এই ক’দিন কেটে গেলেই আমি এসে মিলবো তোমার সঙ্গে। বিসিবিংগুই, তুমি আমার, তুমি আমার!”
বন্য নারীর অন্তরে দুরন্ত ঝর্ণার বেগে নেমে আসে কামনার ঢল। বাসনা আর বাঞ্ছিতের মাঝখানে কোন বাধাকেই সে স্বীকার করে না।
সেদিন মেঘে ঢাকা থাকার দরুণ সূর্যের তেজ তেমন জোরালো ছিল না।
ইয়াসীগুইন্দজা তার প্রাণের সমস্ত গোপন আকুতি বিসিবিংগুই-এর কাছে নিবেদন করে সমর্থনের জন্যে তার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে সমর্থনের চিহ্ন সে দেখতে পায় না।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ক্ষুব্ধ অন্তরে বলে, তাহলে তুমি সত্যি আমাকে ঘৃণা করো? কিন্তু আমি কি করবো? আমি যে নিরুপায়। স্ত্রীলোকের রক্তের ওপর ঐ আকাশের চাঁদ যে প্রভাব বিস্তার করে, তুমি তো জান না, তা রোধ করবার ক্ষমতা মেয়েদের নেই! তাই আমার সরল প্রাণের উচ্ছ্বাস শুনে হয়ত তুমি মনে মনে হাসছো···কিন্তু বিশ্বাস কর, আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি!
১১৪