তবু বিসিবিংগুই তার কথায় কোন সাড়া দেয় না। সহজ পথ ছেড়ে দিয়ে তখন নারী তার গোপন অস্ত্র প্রয়োগ করতে শুরু করে। সেখানে সব দেশেই তারা সমান।
ইয়াসীগুইন্দজা বলে, বুঝেছি, বাতোয়ালার ভয় করছো তুমি!
—বিসিবিংগুই অট্টহাস্য করে ওঠে।
ইয়াসী বলে, চল আমরা এখান থেকে পালিয়ে যাই···এই মুহূর্তে। তোমার কোন ভাবনা ভাবতে হবে না, আমি তোমার জন্যে নতুন ঘর তৈরী করবো, তোমার ঘর-দোর পরিষ্কার করে রাখবো···তোমার জন্যে মাঠে গিয়ে জমিতে চাষ করবো, তুমি খাবে বলে নিজের হাতে শস্য কেটে ঘরে নিয়ে আসবো! বিসিবিংগুই অমন করে তুমি হেসো না। তুমি বুঝতে চেষ্টা করো, চাঁদের আলো যদি একবার আমাদের রক্তে এসে লাগে, আমরা অসহায় কতখানি। আমি কি করে নিজেকে ধরে রাখবো বলো? আমার রক্ত যে ভেতর থেকে আমাকে টেনে আনছে তোমার কাছে!
বিসিবিংগুই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, হাঁ, যাবো!
ইয়াসী বলে, যাবো নয়, এক্ষুনি চলো···তোমার ভয় কি? তুমি বাংগুই শহরে সেখানকার শাদা ক্যাপ্টেনের কাছে সোজা চলে যাবে···তোমার বয়স কম···মজবুৎ তোমার চেহারা···এমন চেহারা কোন সৈনিকের নেই···হায় বিসিবিংগুই, তুমি বিশ্বাস
১১৫