পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করো, এমন চেহারা কারো নেই! একবার তুমি তুরুগু (সৈন্য) হলে আর তোমাকে কোন কালো আদমী ছুঁতে পারবে না, তোমার বিরুদ্ধে তখন কোন নালিশই টিকবে না, এমন কি বাতোয়ালারও নয়! দোহাই তোমার আমাকে বাঁচাও! আমি কিছুতেই বিষ মুখে নিতে পারবো না, কিছুতেই পারবো না ফুটন্ত জলে হাত ডুবিয়ে মরতে! আমার যৌবন এখনো রয়েছে ভরা, আমি বাঁচতে চাই। আর বাঁচতেই যদি হয়, তাহলে যাকে আমার মন চায় তার সঙ্গে না থাকলে বাঁচারই বা কি মানে থাকে?


সপ্তম পরিচ্ছেদ

 আকাশের রঙ কখন ধীরে ধীরে বদলে এসেছে। সূর্যদেবের রক্ত-রাঙা নৌকা তখন দিগন্ত-রেখার পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যাচ্ছে। চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে এসেছে। ঠিক এমনি নিস্তব্ধতা প্রতিদিন মাত্র দুবার করে দেখা দেয়; একবার যখন সূর্য ওঠে, ঠিক তার আগে, আর একবার যখন সূর্য ডুবে যায়, ঠিক তার আগে।

 বিসিবিংগুই উঠে দাঁড়ায়। সমস্ত দেহটাকে টেনে ঠিক করে নেয়। ইয়াসীর দিকে চেয়ে বলে, তুমি যা বলে, তার একটা কথাও আমি অবিশ্বাস করি না। তবে আজ নয়, আমাকে একটু ভেবে দেখতে দাও! নাঙ্গাকৌরার শপথ নিয়ে বলছি, আমি

১১৬