করে নিয়ে আসে। এমন কি, যার যার গোলায় যা কিছু শস্য মজুৎ থাকে, তাও বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসে।
বিচার হয়···অনেক সময় বিচারের ফলে গ্রেফ্তারী মাল নীলামে বিক্রী হয়ে যায়···মুরগী, ছাগল আর গমের দানার সঙ্গে নীলামে স্ত্রীলোক আর ছোট ছোট ছেলেমেয়েও বিক্রী হয়ে যায়···সেই বিক্রয়-লব্ধ অর্থ ট্যাক্স হিসাবে সরকারী তহবিলে জমা পড়ে।
অনেক সময় গ্রেফ্তারী মুরগী আর ছাগল, তুরুগুরা নিজেদের মধ্যেই ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। কেউ কেউ আবার সেই সব মুরগী আর ছাগল খোদ বড়কর্তাকে উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দেয়। বড়কর্তা এই সব প্রীতির নিদর্শন স্মরণ করে রাখেন, প্রমোশন দেবার সময়।
সুতরাং তুরুগু হওয়ার প্রলোভন কালো নিগ্রোদের কাছে কম প্রবল নয়। তাই বিসিবিংগুই-ও মনে মনে ঠিক করে রেখেছিল, সে-ও তুরুগু হবে···
অন্ধকার রাত্রির মধ্যে সেই কথা ভাবতে ভাবতে বিসিবিংগুই একা এগিয়ে চলে···
পিঠে ঝোলান ধনুক, তূণ-ভর্তি বাণ, হাতে লম্বা একটা বর্শা···আলাদাভাবে তৈরী বিরাট বর্শা···একটার জায়গায় তিনটে ফলক। দুই কোমরে গোঁজা দুটো লম্বা ছোরা···ছুঁড়ে মারবার ছোরা। পিঠে ঝোলানো পেট-মোটা একটা থলে···খাবারে
১২০