ভর্তি, বাঁ হাতের অপর দিকে চামড়ার তাগায় বাঁধা আর একটা ছোৱা।
বিসিবিংগুই এগিয়ে চলে অন্তহীন ঘন অন্ধকারের ভেতর দিয়ে···শঙ্কাহীন শান্ত পদক্ষেপে, ধীরে। কিন্তু বিন্দুমাত্র শব্দ হলে, চমকে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে, চোখ আর কান খাড়া হয়ে ওঠে তার। হাতে জ্বলন্ত একটা মশাল। কতক্ষণ এইভাবে সে চলেছে? তার কোন আন্দাজ তার নিজেরই ছিল না। সময়কে ঘণ্টায়, মিনিটে, সেকেণ্ডে ভাগ করে দেখবার কায়দা তারা জানে না। সে কায়দা জানে একমাত্র শাদা মনিবেরা। তারাও আবার আন্দাজে তা জানতে পারে না। তার জন্যে তারা একটা ছোট বাক্সের মত যন্ত্র ব্যবহার করে, তার ভেতরে ছোট ছোট সূঁচের মত দুটো কি তিনটে করে কাঁটা থাকে, সেই কাঁটাগুলো নম্বর-দেওয়া ঘর ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে, তাই থেকে তারা নাকি বুঝতে পারে কতটা সময় কেটে গেল।
বিসিবিংগুই এগিয়ে চলে···সামনেই পড়ে একটা ছোট্ট গাঁ, কোসিগাম্বা কাগা, তার পাশে ছোট্ট একটা নদী বোবো, কতদিন এই নদীর জলে অনায়াসেই না সে সাঁতার কেটেছে। এসে পড়ে বড় রাস্তায়, সে-রাস্তা চলে গিয়েছে শান্ত্রীদের পাহারা-ঘরের দিকে; আরো একটু এগিয়ে এসে পড়ে পাঁচিল-ঘেরা একটা বিরাট জমিতে, সেখানে শাদারা তাদের মড়াদের কবর দেয়; ক্রমশ দেখা দেয় বাম্বা; বাম্বার ওপরে সাঁকো; সাঁকো
১২১