পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তাই করতে হবে! কিন্তু কি···করেই বা সেটা করা যায়? ভাবনার কথা।

 কিন্তু মারতেই হবে। নইলে মরতে হবে। মরার চেয়ে মারা ঢের ভাল। এই অল্প বয়সে পরিপূর্ণ যৌবনের মধ্যে কে মরতে চায়? জীবনে আজও রয়েছে পরিপূর্ণ মধুর স্বাদ এবং নারীরা স্বেচ্ছায় সে-মাধুরীকে করে তোলে মোহনীয়। না, না, সে কিছুতেই মরবে না।

 চারদিকে একবার চেয়ে দেখে। চারদিকে আগুন। গাঁ যেন মশালের মতন জ্বলছে।

 সে সঙ্কল্প স্থির করে ফেলে, বাতোয়ালাকে সে হত্যা করবেই।

 ঠিক হয়েছে, ঠিক হয়েছে! শীকারের সময়! শীকারের সময় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে! এ-রকম দুর্ঘটনা তো শিকারের সময় প্রায়ই হয়···তার জন্যে কে আর মাথা ঘামায়?

 চমৎকার ব্যবস্থা! শিকারকে লক্ষ্য করে বাণ ছুঁড়েছি···বিষ-মাখা বাণ···লেগে গেলো একজন মানুষের গায়! ভবিতব্যতা! সব মানুষই যে তীর ছোঁড়ায় অভ্রান্ত হবে, এমন কোন কথা নেই! সকলের তাক্ সমান হতে পারে না! সবচেয়ে যে ভাল তীরন্দাজ, তারও তীর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়! যায় না? তবে?

 আর ঐ দাবানল!

 প্রত্যেক বছরই কত হতভাগা এই বুনো আগুনে পুড়ে মরে!

১২৫