আগুনের তো কোন বিচার শক্তি নেই! তার খাদ্যাখাদ্য বিচারও নেই! মানুষ কি গাছ, কাকে পোড়াচ্ছে সে কথা ভেবে দেখবার তার কোন প্রয়োজন নেই। বনের ভেতর হয়ত কেউ নেশায় ঘুমিয়ে পড়েছে···গভীর ঘুম···চারদিক থেকে আগুন এসে তাকে বেষ্টন করেছে···ব্যস্! আগুন কাউকেই রেহাই দেয় না কিছুকেই নয়···একমাত্র শুধু জলকে···
তাহলে ব্যাপারটা দাড়ালো কি? হয় একটা বুনো-আগুন, না হয়, শিকারের সময়।
কিসের যেন শব্দ হলো? সে থমকে দাঁড়ায়। সন্ধ্যার পর অন্ধকারে পথের প্রত্যেকটা বাঁক মারাত্মক···প্রত্যেক বাঁকের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে মৃত্যু! সাবধান হতে দোষ কি? যার বুদ্ধি থাকে, সেই সাবধান হয়।
ইস্, একটা পিঁপড়ের ঢিপি! তার ডানদিকে সারি সারি আরো অনেক ঢিপি। তাহলে ডানদিকেই যেতে হবে! লক্ষণ!
কয়েক পা এগুতেই দেখে, কাঁধ বরাবর একটা গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়েছে, বাঁ দিকে···পায়ের কাছে একটা কাঠ, হাঁ, সেটাও বাঁ দিকে···একটা ঝোপ···সেটাও বাঁ দিকে···তাহলে এবার বাঁ দিকেই যেতে হবে। অরণ্যের এই সব ইঙ্গিত জানা চাই। অরণ্য কথা বলে। সারাদিন ধরে বৃদ্ধা পিতামহীর মতন অরণ্য কত কথা বলে! শাদা লোকরা তার কিছুই জানে না। তারা মনে করে, অরণ্য বুঝি মৃত। কি ভুলই না তাদের!
১২৬