মাথার ওপরে একটা পাখী ডেকে গেল···আকাশে আগুনের শিখা ডানদিকে হেলছে, না বাঁ দিকে হেলছে? গাছের শুকনো পাতা তোমার ডানদিকে পড়লো, না বাঁ দিকে পড়লো···গাছের দু'টো ডাল একটার ঘাড়ে আর একটা এসে পড়েছে···পথ চলতে একটা গাছের ডাল মাথায় এসে লাগলো···শুকনো পাতা উড়ে এসে পড়লো···এ-সবের প্রত্যেকের একটা করে আলাদা মানে আছে ···যারা জানে, তারা বুঝতে পারে বনের এই মূক ভাষা। অরণ্য-ভরা কথা···জীবন্ত কথা! মার মতন স্নেহে তাই নির্বাক ভাষায় রাত্রি-দিন অরণ্য আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছে···
বিসিবিংগুই পথ চলে আর ভাবে, কি করে, কখন, কোথায়,বাতোয়ালার সঙ্গে সে শেষ-মীমাংসা করবে!
ক্রমশ সে বাতোয়ালার আস্তানার কাছ-বরাবর এসে উপস্থিত হয়। কানে আসে কুকুরের ক্রুদ্ধ চীৎকার। চোখে পড়ে মশালের আলো। স্পষ্ট হয়ে ওঠে দুটো কণ্ঠ, সুরায় জড়িত। বাতোয়ালা আর তার বৃদ্ধা মা। কুকুরটা আর কেউ নয়, জুমা, বাতোয়ালার কুকুর।
বিসিবিংগুই-এর তন্দ্রা ভেঙে যায়। বুঝতে পারে, সে এসে পড়েছে।
কিন্তু মনের মধ্যে তখনও চলেছে সেই ভাবনা। দুটো প্রশ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, শিকারের সময় দুর্ঘটনা, না, বুনো আগুন? বাতোয়ালাকে হত্যা করবার জন্যে কোনটির আশ্রয় সে নেবে?
১২৭