পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 কিন্তু হঠাৎ মনে পড়ে যায়, আঘাত করার চেয়ে, সেই মুহূর্তে, তার কাছে ঢের বেশী প্রয়োজনীয় আত্মরক্ষার ব্যবস্থার কথা ভাবা। চারদিক থেকে নানা রকমের লক্ষণ তাকে সতর্ক করে দিয়েছিল কিন্তু সে কোন লক্ষণকেই মানে নি, ভাবনার ঘোরে সে শত্রুর ডেরার মধ্যেই এসে পড়েছে। হয়ত তার জন্যে তৈরী ফাঁদে সে নিজেই এসে পা দিয়েছে। সুতরাং এখন আত্মরক্ষার ব্যবস্থার কথাই ভাবা তার পক্ষে বৃদ্ধিমানের কাজ।

 অচিরকালের মধ্যেই বিসিবিংগুই বুঝতে পারে, ঝোঁকের মাথায় কি নির্বুদ্ধিতার কাজই সে করে ফেলেছে! এরকমভাবে বাতোয়ালার ডেরায় তার আসা উচিত হয় নি।

 তার সামনে বাতোয়ালা, সুরায় উন্মত্ত হয়ে আছে। যে কোন আঘাতের জন্যে তৈরী। হয়ত তাকে বধ করবার জন্যে যে ফাঁদ বাতোয়ালা পেতে রেখেছে, তার মধ্যে সে নিজেই এসে পড়েছে। এসব কথা আগে থাকতেই তার ভেবে দেখা উচিত ছিল। এখন ভাববার সময় নেই।

 যদি সেইখানেই বাতোয়ালা তাকে হত্যা করে? সাক্ষী থেকে যাবে? কি করে? সাক্ষীর মধ্যে তো দুটী প্রাণী বাতোয়ালার বুড়ো মা, আর তার কুকুর। কিন্তু সাক্ষী হিসাবে দুজনেই নিরর্থক। কোন মূল্য নেই তাদের অস্তিত্বের। কোন মা তার নিজের ছেলেকে ধরিয়ে দেয় না, যদি ছেলে তার বেজন্মা না হয়। আর জুমা? আজও পর্যন্ত কেউ কখনো শোনে নি

১২৮