যে, কুকুর কথা বলেছে। অতএব, তাদের দুজনের থাকা আর না-থাকায় কিছুই যায় আসে না।
অতএব বিসিবিংগুই, আজ রাত্রি তোমার জীবনের শেষ রাত্রি। স্পষ্ট করে দু’চোখ চেয়ে আশে-পাশের পৃথিবীকে ভাল করে দেখে নাও!
মাটির ওপরই বসে পড়লো। পাশে মাটিতেই বর্শাটি পুঁতে রাখলো, কোমর থেকে ছোরাটা আল্গা করে নিলো।
অতিথি সৎকারে বাতোয়ালার ত্রুটী হয় না। বিসিবিংগুইকে খেতে দেয়। সঙ্গে দেয় ভুট্টা দানার বিয়ার। বিসিবিংগুই গ্রহণ করে না! খাদ্যও নয়, বিয়ারও নয়। প্রত্যাখ্যানে বাতোয়ালা অসন্তুষ্ট হয়···মুখ ভার করে থাকে। বিসিবিংগুই ইচ্ছে করেই তা লক্ষ্য করে না। যথাসম্ভব নিজেকে স্বাভাবিক দেখাবার চেষ্টা করে।
খাদ্য গ্রহণ না করবার ওজুহাত দেখিয়ে সে বলে, আসবার সময় মাকুদের ওখান থেকে খেয়ে আসছি। এক পেট ভরে খাইয়ে দিলো, আলু সেদ্ধ, পোড়া মাছ আর কেনে। জালা ভর্তি করে খেয়েছি। বিশ্বাস না হয়, টিপে দেখো। এক দানা খাবার যাবার আর জায়গা নেই। ফেটে পড়ছে।
পরিচিত লোক দেখে জুমা বিসিবিংগুই-এর কাছে আসে, জিভ দিয়ে পা চাটে। বিসিবিংগুই আদর করে তার গায়ে হাত বুলোয়। আনন্দে ধুলোয় গড়াগড়ি দিতে দিতে হর্ষধ্বনি করে
১২৯