হাত-পা সুস্থ সবল হয়, আগুনের আঁচে তারা রান্না তৈরী করতে পারে, ঘরের অন্ধকার দূর করতে পারে।
এইভাবে ইলিঙ্গোর কাছ থেকে আগুনের ব্যবহার শিখতে শিখতে, পৃথিবীর মানুষ ইলিঙ্গোর প্রেমে পড়ে গেলো। তারা বুঝলো, তার মতন বন্ধু তাদের আর কেউ নেই। যা কিছু তারা বুঝতে পারে না, যা কিছু তাদের কাছে রহস্যময় জটিল বোধ হয়, ইলিঙ্গোকে জিজ্ঞাসা করে! ইলিঙ্গো তার জবাব দেয়।
একটা জিনিস পৃথিবীর মানুষকে সব চেয়ে ভাবিয়ে তুলেছিল। তারা প্রায়ই দেখতো, তাদের আশে-পাশে যে সব জন্তু ঘুরতো ফিরতো, হঠাৎ একদিন তারা অবশ হয়ে শুয়ে পড়তো, আর উঠতো না। ক্রমশ তাদের সামনে থেকে তারা একেবারে অদৃশ্য হয়ে যেতো। কোথায় যায় এই সব জন্তু অদৃশ্য হয়ে? কেন যায়? এ প্রশ্নের কোন উত্তরই তারা খুঁজে পায়না। তার জন্যে একটা অনিশ্চিত ভয় তাদের দেহের ভেতর তাদের স্নায়ুর সঙ্গে তাদের পাক-যন্ত্রের সঙ্গে যেন জড়িয়ে যায়। সেই যে জন্তুটা ঘুরছিল ফিরছিল ডাকছিল, সে কেন হঠাৎ এই রকম চুপ হয়ে গেলো? তখন তাদের যতই ডাকো, তারা আর সাড়া দেয় না। তখন তাদের যতই আদর করো, তারা আর নড়ে না, চড়ে না। যতই কেন তাদের খোসামোদ করো, তারা আর কোন উচ্চবাচ্য করে না। পড়ে থাকে অনড় অচল, শব্দহীন, স্থির। মাছিরা এসে তাদের নাকের ফাঁকের ভেতর দিয়ে ঢুকে পড়ে। কোন
১৩৩