প্রতিবাদ করে না। তারপর দেখতে দেখতে একদিন গলে পচে যায়। পোকা-মাকড় আর মাছি কিলবিল করে সেই পচাদেহের ওপর। কেন এমন হয়? কোন উত্তর না পেয়ে একটা আতঙ্ক তাদের পেয়ে বসে। তারা সকলে মিলে ইলিঙ্গোকে চেপে ধরে, এ রহস্যের সমাধান তাকে করে দিতেই হবে। সে অনেক বিষয় জানে। নিশ্চয় এ বিষয়ও তার জানা আছে। উত্তর দিয়ে মানুষের এই আতঙ্ক তাকে দূর করতেই হবে। কিন্তু ভীত সন্ত্রস্ত মানুষদের এই প্রশ্নের কি উত্তর দেবে তা ইলিঙ্গো ঠিক করে উঠতে পারে না। বলে, আমার রাণী আইপুকে জিজ্ঞাসা করে এসে তোমাদের বলবো।
এই স্থির করে ইলিঙ্গো আবার আইপুর কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়। বলে, একটা ব্যাপার নিয়ে বড়ই মুশকিলে পড়েছি। পৃথিবীর মানুষরা একটা সমস্যা নিয়ে বড়ই বিব্রত হয়ে পড়েছে। তারা মৃত্যুকে ভয় করে। তারা জানতে চায়, পশু-পাখীরা যেমন মৃত্যুর অধীন, মানুষও কি তেমনি মৃত্যুর অধীন?
আইপু বলে, তুমি ফিরে গিয়ে পৃথিবীর মানুষদের জানাও, এতে ভীত হবার কিছু নেই। আমি আমার দেহ থেকেই তাদের তৈরী করেছি। আমিও মৃত্যুর অধীন। তবে আমি আবার জন্মগ্রহণ করি। প্রত্যেক মৃত্যুর আট রাত্রির পর আমি আবার জন্মগ্রহণ করি। তাই মৃত্যুতে আমি অদৃশ্য হয়ে যাই বটে; তবে আবার নবজন্ম নিয়ে ফিরে আসি। মানুষদের জানিয়ে দিও,
১৩৪