প্রথম পরিচ্ছেদ
প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘরের ভেতর যে আগুনের কুণ্ড জ্বালা হয়, সারারাত্রি ধ'রে জ্বলে জ্বলে তা নিভে এসেছে এখন। পড়ে আছে শুধু স্তুপাকার অর্দ্ধদগ্ধ কাঠ-কয়লা, আর ভস্ম, তখনও গরম। ভেতরকার মেটে গোল দেয়াল গরমে ঘেমে উঠেছে। সামনের গর্তের ভেতর দিয়ে একফালি অস্পষ্ট আলো এসে পড়েছে। সেই গর্ত ই হ’ল ঘরের দরজা। খড়ো চালের ভেতর থেকে অনবরত উঠছে একটা খস্ খস্ শব্দ······উইপোকার চলাফেরার শব্দ।
বাইরে ডেকে ওঠে মুরগীগুলো। তাদের কিরিকিরি আওয়াজের সঙ্গে মিশে যায় ছাগল ছানাদের ডাক··· ঘুম ভেঙ্গে তারা তাদের মায়েদের খুঁজছে। ক্রমশ ডাকতে সুরু করে দেয় লম্বা-ঠুঁটো পাখীগুলো···। তাদের মিলিত কলরবের পেছনে, পাম্বা আর বাম্বার তীরে ঘন সবুজ বন থেকে আসে বাকাউয়ার কর্কশ চীৎকার···আফ্রিকার বুনো বাঁদর, কুকুরের মতন মুখের চোয়াল।
এই অঞ্চলের প্রধান বাতোয়ালা, তখনও ঘুমের নেশায় আচ্ছন্ন বিছানায় শুয়ে আছে···শেষ ঘুমের ভেতর থেকে স্পষ্ট
৯