প্রতিবাদ করে সে বলে, তুমি বল্লে, আইপুর আদেশেই ইলিঙ্গো এসেছিল পৃথিবীর মানুষকে আগুনের ব্যবহার শেখাতে? কিন্তু নিয়োন্বাঙ্গুই নদীর ধারে যে-সব জাতের লোক বাস করে তারা অন্য কথা বলে। তারা বলে, এই তোমার কুকুর, তোমার জুমার পূর্ব পুরুষরাই নাকি পৃথিবীতে প্রথম আগুন নিয়ে এসেছিল।
শোন তাহলে, আমি বলছি সে-কাহিনী। বহু···বহুদিন আগেকার কথা। পৃথিবীতে প্রথম যে কুকুর জন্মেছিল, সে একদিন খেলা করছিল, পায়ের নখ দিয়ে মাটি খুঁড়ছিল। খেলার ছলে, এইভাবে সে রীতিমত একটা গর্ত খুঁড়ে ফেলেছিল। হঠাৎ কিছুক্ষণ পরে খুঁড়তে খুঁড়তে সে যন্ত্রণায় চীৎকার করে উঠলো। একটা পা তার জখম হয়ে গেল। সেই পাটা উঁচু করে সে যন্ত্রণায় লাফাতে লাগলো। সেই অবস্থায় তার মনিবের সামনে গিয়ে সে চীৎকার করতে লাগলো এবং মনিবকে টেনে সেই গর্তের কাছে নিয়ে এলো। গর্তের কাছে এসে মনিব দেখে, গর্তের ভেতরে কি যেন জ্বলছে! হাত দিয়ে দেখতে গিয়ে, তার হাতটাও পুড়ে গেলো। সেই মানুষ সর্বপ্রথম আগুনের সন্ধান পেলো।”
বিসিবিংগুই বলে, ওদের দেশে নদীতে যে সব বুড়ো মাঝি চলা-ফেরা করে, তাদের কাছে এই গল্প সে শুনেছে!
বাতোয়ালা সে-কাহিনীকে স্বীকার করতে পারলো না। বলে, তুমি নিয়োন্বাঙ্গুই নদীর ধারে যে জাতের লোকদের কথা
১৩৬