শেষে প্রভাত-সূর্যকে কে দেখবে? সে, না বাতোয়ালা?
বিসিবিংগুই-এর কাহিনীর প্রতিবাদ করে বাতোয়ালা বলে, তুমি যে ইয়াকোমাদের কথা বলছো, তারা একটা নিরেট মূর্খ জাত···তারা এইসব পুরাণ কাহিনীর কিছুই জানে না। আমার কাছ থেকে তুমি তার সত্য বিবরণ শুনতে পাবে। আমি এই-মাত্র যে ইলিঙ্গোর কাহিনী বল্লাম, জেনে রেখো সেই কাহিনীই হলো সত্য। পৃথিবীতে আজ মানুষ যে আগুন ব্যবহার করছে, তা একমাত্র ইলিঙ্গোর জন্যেই সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া, একথা বোধহয় তুমি জান না যে, এই যে আমাদের সব গ্রাম, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত সে-সবই সেই ইলিঙ্গোর কীর্তি।
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর বাতোয়ালা বলে ওঠে, বিসিবিংগুই, যতটুকু তোমার জানা দরকার, তার বেশী জানতে চেষ্টা করো না। আর একথা মনে রেখো, তুমি যতটুকু জান, আমি তার চেয়ে ঢের বেশী জানি···সেই সঙ্গে একথাও তোমাকে জানানো আমার দরকার, যতটুকু জানলে তোমার কোন ক্ষতি হবে না, তুমি তার চেয়ে অনেক বেশী জেনে ফেলেছ···সেটা ভাল নয়।
বিসিবিংগুই চমকে ওঠে। এ কথাগুলোর মধ্যে সে যেন স্পষ্ট একটা আঘাতের সম্ভাবনার সুর শুনতে পায়। চারদিকে চেয়ে দেখে, সে একা। এ অবস্থায় বাতোয়ালাকে প্রতিবাদ করা তার পক্ষে উচিত হবে না। তাদের জাতের পুরাণ কাহিনী
১৩৮