আগুনের শিখা নিয়ে তা আজ চলেছে শিকারে।
একজন চলেছে এগিয়ে, আর একজন চলেছে তার পেছনে। তার পেছনে চলেছে জুমা।
মাঝে মাঝে চলতে চলতে তাদের সঙ্গে দেখা হয় অন্য সব শিকারী-দলের। বাতোয়ালাকে দেখে, সর্দার বলে তারা অভিবাদন জানায়। অপেক্ষা করে থাকবার সময় নেই। সামনে ঝোপে কোথায় ওঠে একটা ঘস্ ঘস্ শব্দ···কান খাড়া করে তারা সেই দিকে ছোটে। সবাই এগিয়ে চলেছে বনের বুকের দিকে, বন্যপশুদের আড্ডার দিকে। সেখানে সকলে একত্র হয়ে ব্যবস্থা ঠিক করে নেয়। এক এক দলের ওপর, এক এক রকম কাজের ভার পড়ে। কেউ রাখে লক্ষ্য, কেউ মাটিতে খুঁজে বার করে বুনো জন্তুদের পায়ের দাগ, কারুর ওপর ভার পড়ে আগুন জ্বালাবার। খুব অল্প লোকই আসল শিকারে নিযুক্ত হয়···উদ্যত বর্শা হাতে বুনো বাঘকে তাড়া করে ছোটে।
দিন বেড়ে ওঠে। নানাদিক থেকে, নানা পথ বেয়ে তারা এসে জড় হয় নদীর ধারে। নদীর ওপারে আসল জঙ্গল। সেই জঙ্গলে শুরু হবে শিকারের খেলা।
তার আগে, তারা নদীর ধারে সকলে একত্র হয়ে বসে। শিকারের দিন হলো উৎসবের দিন। প্রত্যেকের সঙ্গে কিছু না কিছু খাদ্য থাকে। শিকারে ছোটবার আগে, তারা দেহকে সবল করে নেয়। সকলে মিলে গোল হয়ে খেতে বসে। খাবার সময়
১৪৩