পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হয় মজাদার সব গল্প। শিকারের গল্প। পূর্ব-অভিজ্ঞতার গল্প। বুনো জন্তুদের রীতি-নীতি, অভ্যাসের নানান রকম গল্প···

 “লোকের ভুল ধারণা যে বামারা–রা সিংহ, দল বেঁধে শিকারের খোঁজে বেরোয়···”

 “অবিশ্যি, সিংহ আর সিংহিনী স্বামী-স্ত্রীতে এক সঙ্গেই অনেক সময় শিকারের সন্ধানে বেরোয়। তবে সিংহিনী যখন বাচ্ছা প্রসব করে তখন আর সে শিকারে বেরোতে পারে না···নিজের ঘরে তখন সে বাচ্ছাদের নিয়ে স্তন্যদান করে, স্বামীর ওপর ভার পড়ে সংসারের জন্যে মাংস শিকার করে নিয়ে আসবার।”

 “তবে সিংহিনীও ছেলেপুলে নিয়ে খুব বেশীদিন আটক পড়ে থাকে না। যেই দেখলো বাচ্ছারা মজবুত হয়ে উঠেছে, তখনি স্বামী-স্ত্রী বাচ্ছাদের ডেকে নিয়ে সোজা বনের পথ দেখিয়ে দেয়। বাচ্ছারা তখন বাপ-মার কথা ভুলে বনের মধ্যে নিজেদের পথ নিজেরাই করে নিতে বেরিয়ে পড়ে। স্বামী-স্ত্রীতে পাশাপাশি একসঙ্গে আবার তারা তখন শিকার করতে বেরোয়।”

 “কারুর কারুর ধারণা যে, শিকারের সময় সিংহ গর্জন করে। ভুল! সম্পূর্ণ ভুল ধারণা! আরে, একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবে, তুমি যখন বর্শা হাতে হরিণের পেছনে ছোট, তখন কি তত শব্দ করো? যত চুপি চুপি যেতে পার তত ভাল। তবে সিংহ কেন গর্জন করবে? সে কি এমন মূর্খ যে, আগে

১৪৪