শুনতে পায় এই সব পরিচিত আওয়াজ। আশে-পাশে পাঁচখানা গাঁয়ের সে ‘মুকুন্দজী’, মোড়ল।
বিছানায় শুয়েই সে হাই তোলে, এ-পাশ ও-পাশ পাশমোড়া দেয়, হাত-পাগুলো টেনে ঠিক করে নেয়; ভেবে ঠিক করে উঠতে পারে না, বিছানা ছেড়ে উঠে পড়বে, না আবার আর এক পাল্টা ঘুমিয়ে নেবে।
ওঠো, জাগো নাকৌরা! কিন্তু কেনই বা উঠতে হবে?
সে ভাবতেও চায় না···সোজাই হোক্ আর জটীলই হোক্ ভাবনা-চিন্তার ধার সে ধারে না।
হাঁ, উঠতে তো হবেই কিন্তু ওঠা বল্লেই তো ওঠা হয় না। তার জন্যে রীতিমত খানিকটা মেহনৎ তো করতে হবে! অনেকখানি চেষ্টা। উঠতে হবে, শুনতে খুব সোজাই মনে হয়। কিন্তু তাকে কাজে পরিণত করা রীতিমত একটা কঠিন ব্যাপার···কেননা, সে জানে, আজ তার কাছে জেগে ওঠা মানেই হলো কাজ করা···অন্তত শাদা-চামড়ার লোকগুলো সেই কথাই তাদের শিখিয়েছে।
কাজ করতে তার যে বিরক্ত লাগতো কোনদিন, তা নয়। পরিশ্রম করবার মতই তার শক্ত দেহ, নিরেট, নিটোল; লম্বা চওড়। বলিষ্ঠ সব পেশী; তার মতন হাঁটতে, ছুরি চালাতে, কুস্তি করতে খুব কম লোকই পারে।
বাণ্ডাদের সেই বিরাট দেশের একপ্রান্ত থেকে আর একপ্রান্ত
১০