পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

থাকতে গর্জন করে, সমস্ত পশুদের আগে থাকতে সতর্ক করে দেবে? তা কি কখনো কেউ করে? তবে, হাঁ, সিংহ গর্জন করে, কখন? যখন তার আনন্দ হয়। যখন নিহত পশুর বুক চিরে সমস্ত থাবা রক্তরাঙা করে তোলে, তখন আনন্দে সিংহ গর্জন করে ওঠে!”

 শিকার আরম্ভ হবার আগে নদীর ধারে সকলে একত্র জটলা করে বসে। খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে চলে গাল-গল্প। শিকারের গল্প।

 ক্রমশ মাথার ওপরে সূর্য ঠিক মাঝ-আকাশে এসে পৌঁছায়। এমন সময় বনের চারদিক থেকে ওঠে গুর্ গুর্ গুম্ গুম্ আওয়াজ। বাজনদার-রা শুরু করে তাদের কাজ। বাজনার শব্দে বনের পশুদের বিভ্রান্ত করে তোলা হলো তাদের কাজ।

 কিছুক্ষণ পরেই নদীর ওপারে বনের ধার থেকে ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। সারা বনকে বেড়ে তারা শুকনো ঝোপে লাগিয়ে দেয় আগুন।

 এমন সময় দূর থেকে ভেসে আসে বাতাসে অসংখ্য কণ্ঠে আওয়াজ, ইয়াহো!

 ইয়াহো! শিকার আরম্ভের সঙ্কেত।

 সেই শব্দ, সেই বাজনা, আর সেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী জানিয়ে দেয়, শিকারের সমস্ত আয়োজন প্রস্তুত।

 ইয়াহো।! নদী পেরিয়ে বর্শা হাতে ছুটে চলে আসল

১৪৫

  বা—১০