শুয়ে আছে বাতোয়ালা। শুয়ে আছে আজ সাতদিন। যন্ত্রণায়, সেইখানে গড়াগড়ি দেয়, যন্ত্রণায় সেইখানেই অবশ হয়ে পড়ে থাকে। বাঘে যার পেটে নখের স্বাক্ষর দিয়ে গিয়েছে, সে বাঁচে না। বাতোয়ালাও বাঁচবে না। সুতরাং তাকে ঘিরে বসে থেকে সারা বছরের শিকারের কে করবে ক্ষতি? বাতোয়ালার কাছে গাছতলায় চব্বিশ ঘণ্টা আছে একজন মাত্র সঙ্গী···তার সেই হ্যাংলা কুকুর জুমা।
বাতোয়ালা তখনো চেয়ে আছে তার ঘরের দরজার দিকে···সেই ঘরের ভেতর আছে ইয়াসীগুইন্দজা···ভয়ে ইয়াসীগুইন্দজা তার কাছে আসে নি···
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ
গভীর রাত্রি···যন্ত্রণায় বাতোয়ালার চোখ বুজে গিয়েছে···সে স্পষ্ট দেখছে, সে চলেছে সেই সবুজ-ঝোপে-ঢাকা পথ দিয়ে না-চাইতে-সব-পাওয়ার দেশে।
এমন সময় কিসের যেন শব্দ হলো···তার শিকারী মন নিমেষে তাকে জাগিয়ে দিলো···শুকনো পাতার ওপর খস্ খস্ শব্দ···ওঠো, জাগো বাতোয়ালা শিকার এসেছে! বাতোয়ালা চোখ খুলে দেখে, চাঁদের আলোয় ইয়াসীগুইন্দজা বিসিবিংগুইএর সঙ্গে চলেছে···
বাতোয়ালা গর্জন করে ওঠে···কিন্তু শুধু একটা ঘড়্ ঘড়্
১৫০