পর্যন্ত লোকের মুখে মুখে তার অদ্ভুত শক্তির আশ্চর্য সব কাহিনী রূপকথার গল্পের মতন ইতিমধ্যেই ঘুরে বেড়ায়। নারীদের হৃদয়-জয়ে কিম্বা শত্রুদের দুর্গ-জয়ে, কিম্বা অরণ্যে বুনো জন্তুদের শিকারে তার অসংখ্য কীর্তির কথা ইতিমধ্যেই তার স্বজাতির মনে একটা বিস্ময়ের স্বর্গ-লোক রচনা করেছে। যখন রাত্রিতে বনের মাথার ওপর আইপেন্ (চাঁদ) ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছয়, দূর–দূরান্তের সব গ্রামে, মবিস, ডাক্পা, ডাকানো আর লাংবাসীরা তাদের এই সেরা ‘মুকুন্দব্জী' বাতোয়ালার কীর্তির গান গেয়ে ওঠে, গানের সঙ্গে সঙ্গে বাজতে থাকে তাদের হাতের যন্ত্র, বালাফু আর কুন্দে, সঙ্গে তাল দিয়ে চলে তাদের তবলা লিউঘা।
সুতরাং কাজ করতে তার কোন ভয় ছিল না।
কিন্তু কথা হলো, শাদা লোকগুলোর ভাষায় এই কাজ কথাটার একটা আলাদা মানে ছিল। আশ্চর্য অদ্ভুত মানে। তাদের ভাষায় কাজ হলো অকারণ ক্লান্তি, উদ্দেশ্যহীন একটা অবসাদ···কাজ মানে হলো অশান্তি, যন্ত্রণা, বেদনা, স্বাস্থ্যক্ষয়, একটা কাল্পনিক লক্ষ্যের পেছনে অকারণে ছুটে চলা।
উঃ! ঐ শাদা লোকগুলো! কেন তারা, তারা সকলে তাদের নিজের দেশে যে-যার ঘরে ফিরে যায় না? কেন তারা তাদের নিজের ঘর–গেরস্থালির ব্যাপার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে না? কেন তারা তাদের নিজেদের জমি–জমার চাষ–বাস নিয়েই থাকে
১১