না? তার বদলে কেন তারা অকারণ অপ্রয়োজনীয় কতকগুলো টাকা রোজগারের জন্যে হন্নে হয়ে ঘুরে বেড়ায়?
এতটুকুতো হলো জীবনের মেয়াদ। যারা এই সত্য না বুঝেছে তারাই অমনিধারা কাজ ক’রে তা অকারণ ক্ষয় ক’রে বেড়ায়। যে মানুষের দৃষ্টি ঘোলাটে নয়, সে জানে কাজ–না–করার মধ্যে কোন গ্লানি নেই। কাজ–না–করা মানে তো অলসতা নয়। বাতোয়ালা স্থির নিশ্চিতভাবে জানে, কিছু–না–করা মানেই হলো যা’ কিছু পেয়েছ স্বাভাবিকভাবে তোমার চারদিকে, তাকেই সুন্দরভাবে উপভোগ করা, তাতেই সন্তুষ্ট থাকা। তার এ সিদ্ধান্ত যে ভুল, তা আজও কেউ তাকে প্রমাণ করে দিতে পারে নি। প্রত্যেকটা দিন আপনাতে আপনি সম্পূর্ণ। যেদিন চলে গেল তার কথা ভাববার কোন দরকার নেই, যেদিন রাত প্রভাতে আসছে তার জন্যে দুশ্চিন্তা করবারও কোন প্রয়োজন নেই। ভাবনা–চিন্তাহীন স্বচ্ছ নিরুদ্বেগ প্রতিদিন বেঁচে থাকা, এই তো চরম বেঁচে থাকা!
তাছাড়া, বিছানা ছেড়ে ওঠে কি হবে? দাঁড়ানোর চেয়ে বসে থাকা ঢের ভাল, বসে থাকার চেয়ে শুয়ে থাকা ঢের বেশী আরামের। এ তো অতি সোজা কথা···সবাই জানে।
যে মাদুরটার ওপর সে শুয়ে ছিল, তা থেকে শুকনো লতার একটা সুবাস ওঠে। চমৎকার মসৃণ···সদ্য–নিহত কোন ষাঁড়ের চামড়া এত নরম আর মসৃণ হতে পারে না।
১২