সুতরাং চোখ বন্ধ ক’রে না ঝিমিয়ে, সে তো আর একবার ঘুমোতে পারে! বেশ ভাল করে আর একবার পরখ করে দেখতে পারে যে ‘বোগ্বো’র (মাদুর) ওপর শুয়ে আছে, সত্যি সেটা কতখানি মসৃণ...
তাহ’লে, আগুনটাকে আবার জ্বালিয়ে তুলতে হয়।
গোটাকতক শুকনো গাছের ডাল আর একমুঠো খড়, তাতেই হবে। মুখ ফুলিয়ে সে নিভন্ত আগুনে জোর করে ফুঁ দেয়। তখনও ছাই–এর ভেতরে ভেতরে আগুনের কণা লুকিয়ে ছিল। দেখতে দেখতে কাটফাটার শব্দের সঙ্গে সঙ্গে গোলাকারে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে থাকে। দম–বন্ধ–করা তীব্র ধোঁয়া। নিভে যাওয়া আগুনের ভেতর থেকে লক্ লক্ করে জ্বলে ওঠে শিখা...তৈরী হয়ে গিয়েছে আগুন।
আগুনের দিকে পিঠ করে, সেই মিষ্টি আঁচের আমেজে সে আবার ঘুমোতে চেষ্টা করে। বনের মধ্যে ইগুয়ানা যেমন নির্ভাবনায় রোদ পোয়ায়, তেমনি নির্ভাবনায় উপভোগ করা এই মধুর উত্তাপ। তার ইয়াসী...অর্থাৎ তার স্ত্রী যা করছে, তাই অনুসরণ করা ছাড়া আপাতত আর কি করবার আছে?
অনেকদিন হলো এই ইয়াসীর সঙ্গে সে ঘর করছে। শান্ত, নগ্ন নিরুদ্বেগ সে এক পাশে ঘুমিয়ে আছে। একটা কাঠের ওপর মাথা, দুটো হাত পেটের ওপর, পা দুটো ঈষৎ ফাঁক করা,
১৩