বাতোয়ালা কনুই-এর ওপর ভর দিয়ে ভঙ্গী-পরিবর্তন করে, নেয়। সত্যি, চেষ্টা করে ঘুমানো অসম্ভব! তার বিশ্রাম করার বিরুদ্ধে সবাই যেন আজ যড়যন্ত্র করেছে। কুঁড়ে ঘরের ফাঁক দিয়ে বাইরে থেকে ভোরের কুয়াশা ঢুকছে। সব ঠাণ্ডা হয়ে আসছে। তাছাড়া, তার ক্ষিদেও পেয়েছে। হায়! দিন এসে গিয়েছে।
তাছাড়া, এখন কি রকম করেই বা ঘুমাবে? বাইরে ঠাণ্ডায়, ভিজে ঘাসের বনে গেছো-ব্যাঙ আর ষাঁড়-ব্যাঙ স-পরিবারে পাল্লা দিয়ে চীৎকার শুরু করেছে। ভেতরে কুয়াশার হিম, তায় মরে-যাওয়া আগুনে তেমন করে আর আঁচ ওঠে না, তাই মশার দল নির্ভাবনায় আবার সশব্দে ঘুরতে থাকে। ছাগল-ছানাগুলো আপনা থেকে যদিও বেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু মুরগীগুলো তখনো রয়েছে, তুমুল সোরগোল তুলেছে।
এমন কি হাঁসগুলো, স্বভাবতই যারা শান্তশিষ্ট থাকে, ঘুম থেকে উঠে দলপতিকে ঘিরে তারাও কলরব জুড়ে দিয়েছে। কখনো গলাটা বাড়িয়ে ডাইনে বাঁয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, কখনো বা সোজা করে তুলে, বিস্ময়ে চারদিকে কিসের যেন সন্ধান করে বেড়ায়।
তাদের ভঙ্গী দেখলে, স্পষ্ট মনে হয়, যেন তারা এক বিরাট ধাঁধায় পড়ে গিয়েছে। তাদেয় হংস জীবনে যেন এক অভূতপূর্ব নতুন সমস্যার সামনে তারা এসে দাঁড়িয়েছে। ল্যাজ নেড়ে
১৫