মানুষ আর পশু এখানে বাধ্য হয়েই এক ছাদের তলায় একসঙ্গে বাস করে। তাই একসঙ্গে থাকতে থাকতে পরস্পর পরস্পরকে সহ্য করতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
তবে, প্রথম প্রথম জুমার জীবনটাকে বড়ই কষ্টকর মনে হতো। কুকুর হিসেবে তার কি কি কর্তব্য, তা তখনও ঠিক সে আয়ত্ত করে উঠতে পারে নি। মনিবের পায়ের দিকে লক্ষ্য রেখে সময় বুঝে ডেকে উঠতে তার মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যেতো।
বাতোয়ালার অনেক নিষ্ঠুরতা আর ইয়াসীগুইন্দজার অনেক ধমকানি তাকে সহ্য করে বড় হতে হয়েছে। তার ওপর ছিল ছাগল-ছানাগুলোর হরেক-রকম নষ্টামি আর হাঁসগুলোর ঔদ্ধত্য, তাকে মাঝে মধ্যে পাগল করে তুলতো।
তার ফলে, একটুতেই তার মেজাজ বিগড়ে যেতো। কাজ করতে ডাকলেই সে বিরক্ত হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে উঠতো এবং সঙ্গে সঙ্গেই পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করতো। লাথির ভয়ে তার মগজ এমন ধারালো হয়ে উঠেছিল যে, সাদা চামড়ার লোক দেখলেই সে ছুটতে আরম্ভ করে দিতো।
সুতরাং তার ঘুম যদি ভেঙ্গে থাকে, তা গোলমালের জন্যে নয়। খুব বেশী ঘুমিয়েছে বলেও নয়। ঘুম অফুরন্ত। এ বিষয়ে তার মনিবের সঙ্গে সে একমত। ঘুমিয়ে কেউ ক্লান্ত হয় না।
সে ঘুম থেকে উঠলো কারণ উঠতে তো হবেই।
জেগে-ওঠা তার পক্ষে কিন্তু খুব একটা আনন্দের বিষয়ও
১৭