নয়। তার জীবনের অভিজ্ঞতায় সে বুঝেছে, বাতোয়ালার কাছে, বাতোয়ালা কেন প্রত্যেক মানুষের কাছেই, একটা কুকুরের জীবনের কি দামই বা আছে?
মারতে মারতে তাকে তারা মেরেই ফেলে, ক্ষিদে পেলে খেয়ে ফেলে, বিরক্ত হলে কান কেটে ছেড়ে দেয়। এইতো কুকুরের জীবন! তার বদলে কুকুর কি বা করতে পারে? কুকুর করেই বা কি? একরকম নিস্প্রয়োজন বল্লেই হয়। অবিশ্যি যখন বনে আগুন লাগে, তখন কুকুরের খানিকটা দরকার হয়। হাতের কাছ থেকে শীকার যখন পালিয়ে যায়, তখন তার পিছু তাড়া করবার জন্যে দরকার হয়। তা ছাড়া কুকুরের আর কি দরকার? নিষ্প্রয়োজন।
বহুদিন হলো জুমা মানুষকে পুরোপুরি চিনে নিয়েছে। তাদের সব রকম-সকম তার জানা হয়ে গিয়েছে। অনেকদিন হলো সে বুঝতে পেরেছে, ঘরে বসে ঘুমুলে, কেউ তার মুখে খাবার এনে দেবে না।
সুতরাং তাকে জাগতে হয়। সে জানে এই ভোরবেলা বেরিয়ে পড়লে টাটকা ছাগল-নাদি পাওয়া যায়। ভোরবেলাকার এই নাদিতে তবুও খানিকটা দুধ-দুধ গন্ধ থাকে। যে কুকুরের ভাগ্যে সারাদিনের মধ্যে চিবোতে আর কিছু জুটবে না, তার কাছে এই ভোরের ছাগল–নাদিই পরম উপাদেয় খাদ্য।
ছাগলের পরিত্যক্ত এই পদার্থ, তাও সংগ্রহ করতে হলে
১৮