পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 দুচোখ রগড়ে, একবার ভাল করে নাকটা ঝেড়ে নিয়ে উঠে বসলো গা চুলকোতে লাগলো। বগল, উরু, মাথার পশ্চাদদেশ, হাত, কোন অঙ্গই বাদ দিল না। চুলকোনো যে রীতিমত একটা ব্যায়াম। চুলকোনোর ফলেই না শিরায় রক্ত চলাচল আবার দ্রুত হয়। চুল্‌কোতে অবশ্য এক সময় রীতিমত ভালও লাগতো, আজ শুধু অভ্যাস, ঘুম থেকে জেগে ওঠার লক্ষণ।

 আরে, চারিদিকে একটু চেয়ে দেখলেই তো বোঝা যায়! কোন্ প্রাণী ঘুম থেকে উঠে গা চুলকোয় না? সব প্রাণীই তা করে। মানুষ হয়ে তা অনুকরণ করতে দোষ কি? এটা তো একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। যে দেখবে ঘুম থেকে উঠে গা চুলকোচ্ছে না, বুঝবে তার ঘুম এখনও ভাল করে ছাড়ে নি।

 তবে চুলকোনো ভাল বটে কিন্তু হাই তোলা আরো ভাল। হাই তোলা মানে হলো, মুখ দিয়ে ভেতরের ঘুমকে পুরোপুরি বার করে দেওয়া!

 এবং সেটা যে সম্ভব তা প্রকৃতির দিকে চাইলে অনায়াসেই বোঝা যায়। শীতের দিনে কে না দেখেছে, দেহের ভেতর থেকে একরকম ধোঁয়া বেরোয়? এ থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, ঘুমটা হলো দেহের ভেতরের একটা গোপন আগুন। এই আগুনের অস্তিত্ব সম্বন্ধে সে একেবারে অভ্রান্ত। তা ছাড়া, ওঝারা হলো সবজান্তা, তাদের কোন ভুলই হতে পারে না। তার বাবার কাছ থেকে এই ওঝাগিরি সে শিখেছে, তার বাবার

২০