তাকেই ঠিক করে নিতে হবে। মানুষ যে-যার একলার জন্যেই। অন্তত সেই তত্ত্বই সে শিখেছে।
আগুন ঠিক করে, সে বেরিয়ে পড়লো।
অল্পক্ষণ পরেই আবার ফিরে এলো। গ্রীষ্মই হোক আর বর্ষাই হোক, সামান্য একটা কোমর-বন্ধ ছাড়া আর কিছু সে পরতো না। সেই জন্যে শীতের দিনে শীতের কামড় একটু-আধটু সহ্য করতে হতো।
বাইরের কুয়াশা ঘন হয়ে পড়ছে। এত ঘন যে ঠাওর করে উঠতে পারে না, তার বাকি আটজন স্ত্রীর কুঁড়েঘর ঠিক কোন্ দিকে।
উহু···হ্···হ্ হিমে দেহ কাঁপতে থাকে··· দাঁতে দাঁত লেগে যায়।
ঘরে ঢুকে তৈরী আগুনে ফুঁ দেয়। আগুনের আঁচে হিমের জড়তা কেটে যায়। আগুনের ওপর হাতের পাতা মেলে দিয়ে আপনার মনে একটা পুরানো গানের সুর গুণ গুণ করে গেয়ে ওঠে। গুণ গুণ করতে করতে গানের ভাষায় নতুন শব্দ যোজনা করে। কান পেতে শুনলে বোঝা যাবে, তার মধ্যে শাদা-চামড়াওয়ালা মেয়ে-পুরুষদের কথাও আছে।
বাইরে হাল্কা হাওয়া জেগে ওঠে। ভিজে পাতার মধ্যে মৃদু শিহরণ জাগে। ডালগুলো দুলে দুলে এ-ওর ঘাড়ে গিয়ে পড়ে। বাঁশের উঁচু মাথা নুয়ে প’ড়ে দুলতে থাকে। করুণ
২২