পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দীর্ঘশ্বাসের মতন তাদের বুক থেকে একটা আওয়াজ ওঠে।

 বাতাস ক্রমশ জোরে বইতে থাকে। ঘন কুয়াশা টুকরো টুকরো হয়ে যায়। অবশেষে একটা দমকা হাওয়া এসে তাদের দূরে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। মেঘের ভেতর থেকে স্পষ্ট স্বচ্ছ সূর্য ফুটে ওঠে!

 বাতোয়ালা তার কুঁড়ে ঘরের বাইরে, নতুন-জ্বালা অগ্নিকুণ্ডের সামনে এসে বসে। উদাসীন শূন্য মনে সে তার পুরানো গড়গড়াতে তামাক দিয়ে ধীরে ধীরে টানতে আরম্ভ করে···

 বাইরে এসে গিয়েছে দিন।


দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

 আধ–বোঁজা চোখে বাতোয়ালা ধূমপান করে চলে। আরামে ছোট ছোট করে টান দেয়, ছোট ছোট ধোঁয়ার কুণ্ডলী ঘুরতে ঘুরতে বাতাসে মিলিয়ে যায়।

 অনেকক্ষণ কেটে যায় এইভাবে।

 ক্রমশ আকাশে সূর্য প্রখর হ’য়ে উঠতে থাকে। বাড়তে থাকে রোদের তেজ। মন্দ লাগে না। প্রতিদিনের অভ্যাসে সয়ে গিয়েছে রোদের ঝাঁঝ। গায়েই লাগে না।

 সামনে তুলোর গাছে মাঝে মাঝে হঠাৎ দমকা হাওয়ায় আলোড়ন জাগে। নরম কচি ডালের কাঁচা সবুজ পাতা শির শির করে ওঠে।

২৩