কোন কোন গাছের ছাল ভেতর থেকে চিড় খেয়ে শুকিয়ে দীর্ণ বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছে; আর তার ভেতর থেকে ফেটে পড়ছে প্রাণ-রস, জমাট-বাঁধা রক্ত অশ্রু-বিন্দুর মত।
একগাছ থেকে আর এক গাছে সেতু রচনা করে, ঠাসবুনোনি জালের মতন প্রত্যেক গাছকে জড়িয়ে উঠেছে বিচিত্র সব লতা।
তপ্ত মাটীর শুকনো গন্ধের সঙ্গে, বুনো ঘাস আর পচা জলার ঝাঁঝালো দুর্গন্ধ মিশে বাতাসকে ভারী করে তোলে। তার ভেতর থেকে নাকে আসে বুনো সব্জীর রোদে-পোড়া গন্ধ।
চারিদিকের এই ঘন সবুজের ভেতর আত্মগোপন ক’রে আনন্দে ডাকতে থাকে বুনো পাখীর দল। স্বচ্ছ নীল আকাশে ভ্রাম্যমান কৃষ্ণ-বিন্দুর মতন ঘুরে বেড়ায় শব-সন্ধানী শকুনির দল··· দূর থেকে মাঝে মাঝে বাতাসে ভেসে আসে তাদের বীভৎস চীৎকার। ক্ষীণ অথচ কর্কশ।
পোম্বা কিম্বা বাম্বার তীর থেকে ভেসে আসে টুকরো টুকরো গানের সুর···কারা যেন গাইছে, “এ হে···ইয়াবা···হো”···
তার অর্থ হলো, নদীর ধারে, যে কোন জায়গায় হোক, সুরু হয়ে গিয়েছে কাজ···গানের সুর জুগিয়ে চলেছে মেহনতের ছন্দ।
রোদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে থেমে আসে সব শব্দ। সে শব্দহীনতার একাধিপত্য ভঙ্গ করে শুধু জেগে ওঠে সেই নদী-পারের একঘেয়ে সুর। হঠাৎ গান যখন থেমে যায়, কান পেতে স্পষ্ট
২৪