শোনা যায়, চারিদিকে তপ্ত রোদের ঝাঁঝে ফেটে পড়ছে গাছের গা···শোনা যায়, সেই সব ক্ষীণতম শব্দ,যা দিয়ে তৈরী হয় মধ্যাহ্নের নীরবতা।
আবার ভেসে আসে সেই সুর··· এবার যেন ক্ষীণতর।
এতক্ষণে ইয়াসীগুইন্দজা যথারীতি রান্না করেছে কাসাভাদানার ভাত···সেই সঙ্গে হয়েছে তরকারি, আলু-সিদ্ধ, আর বুনো শাক।
বাতোয়ালা খেতে বসে, ইয়াসীগুইন্দজা স্বামীর পরিত্যক্ত হুঁকোটি তুলে নেয়···তামাক টানতে টানতে অন্যমনস্ক ভাবে চেয়ে থাকে উনুনের হাঁড়ির দিকে, সেখানে গুটি-পোকার ষ্টু তৈরী হতে থাকে নরম আঁচে।
তার আটজন সপত্নী-সখী তখন যে-যার কুঁড়ে ঘরের বাইরে নগ্নাবস্থায় দরমার বেড়ায় ঠেস দিয়ে প্রসাধনে ব্যস্ত।
এর মধ্যে লজ্জা বা সঙ্কোচের কিছুই নেই। পুরুষ আর নারী, পরস্পরের প্রয়োজনের জন্যেই তৈরী হয়েছে। পুরুষ আর নারীর মধ্যে যেটুকু পার্থক্য, সে-পার্থক্যকে যখন অস্বীকার করা কোন মতেই চলে না, তখন তা নিয়ে অকারণে মাথা ব্যথা করে লাভ কি? দেহগত লজ্জার কোন মানেই হয় না। সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। শাদা চামড়াওয়ালা মানুষগুলো তাদের সঙ্গে নিয়ে এসেছে হরেক রকমের ভণ্ডামি। আরে, মানুষ কোন্ জিনিস লুকোয়? যদি কোথাও কোন আঘাতের দাগ থাকে,
২৫