পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যদি কোথাও কোন গোলমাল থাকে, তবেই তাকে মানুষ ঢেকে রাখতে চেষ্টা করে। নইলে, পুরুষই হোক, আর নারীই হোক্, যা তার স্বাভাবিক, যা তার প্রকৃতিগত শক্তি, যা তার সৌন্দর্য, তাকে সে লুকোতে যাবে কেন? হাঁ, এমন যদি কোন উদ্ভট জিনিস থাকে, যা দেখে মানুষ হাসতে পারে বা উপহাস করতে পারে, তা না হয় লুকোন চলে!

 বাতোয়ালা খেতে আরম্ভ করে··· কাসাভা-দানার ভাত শেষ ক’রে গুটি-পোকার ঝোলের বাটিতে হাত দেয়···গুটি পোকা নিঃশেষ করে শেষকালে মুখে দেয় আলু সেদ্ধ। দু’তিন গ্রাস খাদ্যের পর এক-একবার ‘কেনে’র ভাঁড় তুলে নিয়ে চুমুক দেয়··· ‘কেনে’ হলো তাদের দেশের “বিয়ার”, ভুট্টার বীচি পচিয়ে তৈরী করা হয়।

 পরিতৃপ্তভাবে ভোজন শেষ করে বাতোয়ালা ইয়াসী গুইন্দজাকে ঈঙ্গিত করে, তামাকের হুঁকাটা আবার তার কাছে এগিয়ে দেবার জন্যে। মৌজ করে বসে অনেকক্ষণ ধ’রে গড়গড়াটি নিয়ে টানের পর টান দিতে থাকে। দিনটার আরম্ভ মন্দ গেল না, খুসী হয়েই হুঁকোটা নামিয়ে রেখে দেয়। তারপর পা ছড়িয়ে ডান পায়ের আঙুলগুলো নেড়ে-চেড়ে পরীক্ষা ক’রে দেখে, ‘সিগ্‌ড়ে’ অর্থাৎ পোকা-মাকড় কিছু আছে কিনা। এই সিগ্‌ড়ের উৎপাতের জন্যে বেচারা নিগ্রোদের সর্বদাই উদ্‌ব্যস্ত হয়ে থাকতে হয়। একদিন যদি অন্যমনস্ক হয়ে পায়ের

২৬