পাতা:এরাও মানুষ - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৫০).pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আঙুলের দিকে নজর না দিয়েছে, তা হলে রাতারাতি আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে সিগ্‌ড়েগুলো হাজার হাজার ডিম পেড়ে বসবে··· একটা সিগ্‌ড়ে যে কত ডিম পাড়তে পারে, তার কোন হিসেব–নিকেষ নেই।

 শাদাচামড়া-ওয়ালা লোকদেরও সিগ্‌ড়েরা ছেড়ে দেয় না। কিন্তু তাদের কথা হলো আলাদা। তাদের চামড়া এমন যাচ্ছেতাই রকম নরম যে একটা সিগ্‌ড়ে গিয়ে বসলেই, তারা জানতে পেরে যায়, ভয়ে ছটফট করতে থাকে। তক্ষুণি বয়কে ডাক পাড়ে। বয় এসে চামড়া থেকে সিগ্‌ড়েটাকে খুঁজে বার করে যতক্ষণ না মেরে ফেলছে, ততক্ষণ তারা চেঁচাতেই থাকবে।

 কিন্তু এ নিয়ে আলোচনা করে কি লাভ? কে না জানে যে, শাদা লোকগুলোর গায়ের চামড়া নিগ্রোদের মতন শক্ত মজবুৎ নয়?

 নিগ্রোদের গায়ের চামড়া মজবুৎ বলেই শাদা লোকগুলো হাজার রকমে তার সুযোগ নেয়। একটা উদাহরণ দিলেই তা বোঝা যাবে। ট্যাক্‌স্ আদায় করবার ফিকিরে শাদা লোকগুলো নিগ্রোদের দিয়ে পাহাড়-প্রমাণ বোঝা বইয়ে নেয়। একদিন দুদিন নয়, ক্রমান্বয়ে চার-পাঁচদিন ধরে সমানে এই সব বোঝা কাঁধে করে তাদের চলতে হয়···এই সব বোঝার ওজন যে কত ভারী, একজন মানুষ বইতে পারে কিনা, তা শাদা লোকগুলো একবার ভেবেও দেখে না! রোদ হোক্, বৃষ্টি হোক্‌,

২৭